হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের জেরে ফিলিস্তিনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে: ইরান

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি জানান, ‘ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া শাহাদাৎ বরণ করায় ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান ও প্রিয় ফিলিস্তিন ও স্বাধীনতাকামীদের মধ্যে গভীর ও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে।’
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। ছবি: রয়টার্স
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। ছবি: রয়টার্স

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইরান ও ফিলিস্তিনের গভীর ও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে জানিয়েছে তেহরান।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে ইরানের গণমাধ্যম ফার্স নিউজ এজেন্সি। 

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি জানান, 'ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান ইসমাইল হানিয়া শাহাদাৎ বরণ করায় ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান ও প্রিয় ফিলিস্তিন ও স্বাধীনতাকামীদের মধ্যে গভীর ও অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আরও সুসংহত হবে।'

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। ছবি: রয়টার্স
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের সময় ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া। ছবি: রয়টার্স

কানানি হানিয়াকে একজন 'খাঁটি মুজাহিদ' বলে উল্লেখ করেন। তিনি জানান, হানিয়া আজীবন ইসরায়েলের জায়নবাদী শাসকদের উৎখাতের সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি জায়নবাদী দখলদারদের হাত থেকে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগোষ্ঠীকে মুক্ত করার সংগ্রামে যে অবদান রেখেছেন তা বৃথা যাবে না।

কানান তার বক্তব্যে হানিয়ার মৃত্যুতে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

একইসঙ্গে তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য ফিলিস্তিন, হামাস, অন্যান্য ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন ও ফিলিস্তিনকে সমর্থন দেয় এমন সব দেশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

ফার্সের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে তেহরানে বিমান হামলার মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, 'ইরানের প্রেসিডেন্টের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরান এসেছিলেন হানিয়া। তিনি উত্তর তেহরানে অবসরপ্রাপ্ত সেনাদের জন্য নির্মিত বিশেষায়িত বাসভবনে অবস্থান করছিলেন। সে সময় আকাশ থেকে ছুড়ে মারা ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নিহত হন তিনি।'

গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি হামলায় ইরানে নিজ বাসভবনে নিহত হন হানিয়া ও তার এক দেহরক্ষী।

এক বিবৃতিতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এখনো হামাস প্রধানের মৃত্যুর বিষয়ে ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি।

Comments