হানিয়াকে হত্যা ‘কাপুরুষোচিত কাজ’: ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট আব্বাস

বাম থেকে ডানে: ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ফাইল ছবি:  তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত
বাম থেকে ডানে: ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ও হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। ফাইল ছবি: তুরস্কের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আজ জানিয়েছেন, হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার ঘটনা একটি 'কাপুরুষোচিত কাজ'। তিনি ফিলিস্তিনিদের ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একতাবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

আব্বাসের কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাচ্ছেন। তিনি এই কাপুরুষোচিত ঘটনাকে গুরুতর উসকানি হিসেবে বিবেচনা করছেন।'

'তিনি ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের শক্তিমত্তাকে একতাবদ্ধ করার, ধৈর্যশীল থাকার ও ইসরায়েলি দখলদারদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন', বিবৃতিতে আরও যোগ করা হয়।

অপরদিকে জ্যেষ্ঠ হামাস কর্মকর্তা মুসা আবু মারজুক এক বিবৃতিতে বলেন, 'আমাদের নেতা ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা কাপুরুষের মতো কাজ এবং এর উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে।'

মুসা আবু মারজুক হামাসের রাজনৈতিক শাখার সদস্য। 

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, এই হামলায় ইসমাইল হানিয়ার দেহরক্ষীদের একজনও নিহত হয়েছেন।

এক বিবৃতিতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বলেছে, 'হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার তেহরানের বাসভবনে হামলা চালানো হয় এবং এতে তিনি ও তার এক দেহরক্ষী নিহত হন।'

এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে যান ইসমাইল হানিয়া।

হানিয়ার মৃত্যুর বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি আর্মি। তা ছাড়া, হামলার বিস্তারিত তথ্যও এখনো জানা যায়নি।

কে এই হানিয়া?

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ। ফাইল ছবি: এএফপি
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়েহ। ফাইল ছবি: এএফপি

ইসমাইল হানিয়া ১৯৮৭ সালে হামাসে যোগ দেন।  তিনি ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী হন। তবে তার বিরোধী গোষ্ঠী তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে গিয়েছে ও ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তিনি ২০১৭ সালে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান নির্বাচিত হন। 

২০১৬ সাল থেকে তিনি কাতার ও তুরস্কে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন। তখন থেকে তিনি ফিলিস্তিনের বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি ইরান ও তুরস্কের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। 

তাকে শেষ দেখা গিয়েছিল মঙ্গলবার ইরানের নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বগ্রহণ অনুষ্ঠানে। মঙ্গলবার তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus returns home completing 4-day Japan tour

A flight of Singapore Airlines, carrying the CA landed at Hazrat Shahjalal International Airport at 12:15am on Sunday

4h ago