ইসরায়েলে ২৫০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো হিজবুল্লাহ

হিজবুল্লাহর রকেটে ধ্বংস হয়েছে এই ইসরায়েলি বাড়িটি। ছবি: রয়টার্স
হিজবুল্লাহর রকেটে ধ্বংস হয়েছে এই ইসরায়েলি বাড়িটি। ছবি: রয়টার্স

লেবাননের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে অন্তত ২৫০টি রকেট ছুঁড়েছে হিজবুল্লাহ। এটাই চলমান সংঘাতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠনটির সবচেয়ে বড় হামলা।

আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।

দিনভর এই হামলা চলে। এতে প্রায় ৫০০ বার আকাশ হামলার সতর্কতা সূচক সাইরেন বেজে উঠে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কয়েকটি রকেট গুরুত্বপূর্ণ শহর তেল আবিবে আঘাত হেনেছে।

আইডিএফের দাবি, এগুলো 'প্রজেক্টাইল রকেট'। অর্থাৎ, নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত করতে পারে এমন রকেট।

তবে আইডিএফের দাবি, তাদের আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্যে আঘাত হানার আগেই বেশিরভাগ রকেট ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছে। 

কিছু রকেট মধ্য ইসরায়েলে আঘাত হানে। এতে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভেঙে পড়ে।

আকাশ হামলার সতর্কতামূলক ব্যবস্থার ফলে আগেই বাসিন্দারা বাঙ্কারে আশ্রয় নেন। যার ফলে কারো প্রাণহানি হয়নি।

পেতাহ তিকভায় বেশ কয়েকজন আহত হন। হাইফা শহরে একটি পাঁচ তলা ভবনে রকেট আঘাত হানলে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এই ভবনটি ধসে পড়ার ঝুঁকিতে আছে। কিফার ব্লামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নাহারিয়া ও মোশাভ রিনাতিয়াসহ আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় রকেট আঘাত হানে।

বিবৃতিতে আইডিএফ দাবি করে, হিজবুল্লাহর এই হামলায় অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ। রকেটের শার্পনেলে তারা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

লেবানিজ রকেটে আহত ইসরায়েলি কুকুরকে সেবা দিচ্ছে চিকিৎসাকর্মী। ছবি: রয়টার্স
লেবানিজ রকেটে আহত ইসরায়েলি কুকুরকে সেবা দিচ্ছে চিকিৎসাকর্মী। ছবি: রয়টার্স

পরবর্তীতে বৈরুতে একটি রকেট লঞ্চারে হামলা চালায় আইডিএফ। তাদের দাবি, এখান থেকেই হাইফার দিকে রকেট হামলা চালানো হয়েছিল।

আইডিএফের আরবিভাষী মুখপাত্র কর্নেল আভিচে আদ্রাই রোববার তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করে মানচিত্র প্রকাশ করেন এবং ওইসব এলাকা থেকে বেসামরিক লেবানিজদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। বৈরুতের দাহিয়েহ সহ বেশ কয়েকটি জায়গা ম্যাপে চিহ্নিত করা হয়।

রকেট হামলার প্রতিশোধে বৈরুতের একটি পাঁচ তলা ভবনে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ২০ থেকে ২৫ জনের মতো নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

তবে নিহতদের মধ্যে কতজন হিজবুল্লাহর কর্মী, তা জানা যায়নি।

সেপ্টেম্বরে লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে হামলার মাত্রা বাড়ায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে প্রায় তিন হাজার ৭০০ লেবানিজ নিহত হয়েছেন।

আইডিএফের দাবি, লেবাননের পরিস্থিতি গাজার মতো নয়। গাজায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশ বেসামরিক ব্যক্তি হতে পারে বলে দেশটি মেনে নিয়েছে। তবে লেবানন প্রসঙ্গে নেতানিয়াহুর সেনাবাহিনীর দাবি, নিহতদের প্রায় সবাই হিজবুল্লাহর সদস্য।

Comments

The Daily Star  | English
Barishal University protest

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

11h ago