‘সিরিয়ায় হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করার ইসরায়েলি-মার্কিন পরিকল্পনার অংশ’

বিদ্রোহীরা আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে। ছবি: রয়টার্স
বিদ্রোহীরা আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছে। ছবি: রয়টার্স

বেশ কিছুদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে চলছে অস্থিরতা। গাজা-লেবাননের সংঘাতে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এদিকে লেবাননে যুদ্ধবিরতি ঘোষণার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সিরিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের হামলায় ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছে ইরান ও রাশিয়া।

আজ রোববার জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে ফোন কলে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি মন্তব্য করেন, সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের আকস্মিক হামলা এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল রাখার মার্কিন-ইসরায়েলি পরিকল্পনার অংশ। 

ইরানের পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের হামলা 'জঙ্গিবাদের অশুভ নিদর্শন।'

তিনি আরও জানান, 'সিরিয়ার জঙ্গি সংগঠনগুলোর' সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোকে 'পশ্চিম এশিয়াকে অস্থিতিশীল করে তুলতে (ইসরায়েলের) জায়নিস্ট শাসক ও যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার অংশ।'  

বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলার মুখে সিরিয়ার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা ইরান, রাশিয়া ও সিরিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর দিকে নজর দেওয়ার প্রতি জোর দেন।

রাশিয়া ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, তারা 'জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষার উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিরিয়ার সরকার ও সেনাবাহিনীকে জঙ্গি গোষ্ঠীদের মোকাবিলায় পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছেন।'

এই কলের বিষয়ে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে জানানো হয়, উভয় পক্ষ 'আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশে সশস্ত্র গোষ্ঠীর জঙ্গি কার্যক্রমের ফলে উদ্ভূত আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন'।  

আলেপ্পোর আতারিবে বিমান-হামলা পরবর্তী দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স
আলেপ্পোর আতারিবে বিমান-হামলা পরবর্তী দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স

এর আগে, শনিবার এ বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার লাভরভ তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন বলে জানা গেছে।

বিবিসি জানিয়েছে, সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীর আকস্মিক হামলায় ২০ জন বেসামরিক ব্যক্তিসহ নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়িয়েছে। ইতোমধ্যে বিদ্রোহীদের তোপের মুখে আলেপ্পো ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে সরকারি বাহিনী।

বাশার আল আসাদের সরকার স্বীকার করে নিয়েছে, সিরিয়ার বড় একটি অংশ এখন বিদ্রোহীদের দখলে।

বাশারকে ক্ষমতায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী রাশিয়া শনিবার আবারও আলেপ্পোতে বিমান হামলা চালিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

4h ago