সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিরোধীদের প্রবল লড়াই

রিমোট কন্ট্রোল চেপে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালাচ্ছেন এক বিদ্রোহী। ছবি: এএফপি
রিমোট কন্ট্রোল চেপে সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালাচ্ছেন এক বিদ্রোহী। ছবি: এএফপি

গাজা ও লেবাননের পর সিরিয়ায় শুরু হয়েছে প্রবল যুদ্ধ। ইতোমধ্যে আলেপ্পো শহর দখল করে নিয়েছে বিরোধী ইসলামি গোষ্ঠী এইচটিএস। তার পাশেই হামা অঞ্চলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই শুরু করেছে এই গোষ্ঠী।

হারিয়ে ফেলা ভূখণ্ড পুনর্দখলের জন্য অসংখ্য সেনা পাঠিয়েছেন সিরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান বাশার আল-আসাদ। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর হামায় এই সেনা পাঠানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার থেকে সেখানে বিরোধী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) সঙ্গে সরকারি সেনাবাহিনীর তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এইচটিএসও দখল করা ভূখণ্ড ছাড়তে নারাজ।

সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালাতে কাঁধে রকেট বহন করছেন এক বিদ্রোহী। ছবি: এএফপি
সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালাতে কাঁধে রকেট বহন করছেন এক বিদ্রোহী। ছবি: এএফপি

এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ায় নতুন করে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এইচটিএস আল কায়দা থেকে উদ্ভূত একটি গোষ্ঠী। উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় তারা শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করেছে। সেই সামরিক শক্তিমত্তার বদৌলতে তারা আলেপ্পো অঞ্চল দখল করে ফেলেছে।

কৌশলগত দিক দিয়ে হামা অঞ্চল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই শহরের মাধ্যমেই আলেপ্পোর সঙ্গে রাজধানী দামেস্কের সংযোগ। যার ফলে, আসাদ সরকার কোনো ভাবেই হামা দখল হতে দিতে চায় না।

অন্যদিকে এইচটিএসের পরবর্তী লক্ষ্য হামা দখল করে সেখানে স্থায়ীভাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। হামা দখল করতে পারলে দামেস্কের খুব কাছে পৌঁছে যেতে পারবে তারা।

'দুর্বল' আসাদ

সরকারের বিরুদ্ধে হামলার ফাঁকে হামা অঞ্চলের উত্তরাঞ্চলের শহরতলীর অবস্থানে আড্ডা দিচ্ছেন সিরিয়ার বিদ্রোহীরা
সরকারের বিরুদ্ধে হামলার ফাঁকে হামা অঞ্চলের উত্তরাঞ্চলের শহরতলীর অবস্থানে আড্ডা দিচ্ছেন সিরিয়ার বিদ্রোহীরা

যতটা শক্তি নিয়ে আসাদ পাল্টা আক্রমণে যাবেন বলে মনে করা হয়েছিল, বাস্তবে তা দেখা যাচ্ছে না। দীর্ঘ প্রায় দেড় দশকের গৃহযুদ্ধে কার্যত ভেঙে পড়েছে সিরিয়া। আসাদ এখনো গোটা দেশে নিজের প্রতিপত্তি প্রমাণ করার চেষ্টা করলেও আলেপ্পোর দিকে তার এখন কার্যত কোনো ক্ষমতা নেই। অন্যদিকে হামা তার নিজের এলাকা। এই অঞ্চলে জনসমর্থনও উপভোগ করে এসেছেন আসাদ।

বিরোধী গোষ্ঠী যদি এই অঞ্চল দখল করে নিতে পারে, তাহলে কার্যত জনসমর্থনের ভিত্তি হারাবেন দেশটির দীর্ঘদিনের শাসক আসাদ।

এদিকে চলতি লড়াইয়ে মিত্ররাষ্ট্র ইরান ও রাশিয়া আসাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ইরান ও রাশিয়া আসাদের দীর্ঘদিনের সঙ্গি।

রাশিয়া আলেপ্পো অঞ্চলে বিমান হামলা চালাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য।

ইতোমধ্যে পিক আপ ট্রাকে করে ইরানের যোদ্ধারা সিরিয়ায় প্রবেশ করেছেন বলেও শোনা যাচ্ছে।

রয়টার্স, এপি, এএফপি

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

4h ago