সিরিয়ায় টানা ৫ দিনের সংঘাতে নিহত বেড়ে ৩৫০

দুই গোষ্ঠীর সংঘাতে জ্বলছে সিরিয়ার সওয়েইদা অঞ্চল। ছবি: এএফপি
দুই গোষ্ঠীর সংঘাতে জ্বলছে সিরিয়ার সওয়েইদা অঞ্চল। ছবি: এএফপি

সিরিয়ার দক্ষিণের সওয়েইদা প্রদেশে গত সুন্নি বেদুঈন ও দ্রুজ গোষ্ঠীর যোদ্ধাদের মধ্যে টানা পাঁচ দিন ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে। এই সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫০ জনে দাঁড়িয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার এক যুদ্ধ পর্যবেক্ষনকারী সংস্থার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।

সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নামের সংস্থাটি জানায়, রোববার থেকে শুরু হওয়া সংঘাতে নিহতদের মধ্যে ৭৯ জন দ্রুজ যোদ্ধা ও ৫৫ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি জানায়, নিহতদের মধ্যে ২৭ ব্যক্তিকে প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বাহিনী 'ঠাণ্ডা মাথায়' হত্যা করেছে।

এর আগে নিহতের সংখ্যা ৩০০ বলে অভিহিত করেছিল সংস্থাটি।

অপর দিকে, নিরাপত্তা বাহিনীর ১৮৯ সদস্য ও ১৮ জন বেদুঈন যোদ্ধাও এই সংঘাতে নিহত হন।

সিরীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাটি জানায়, সোওয়েইদায় নিহতদের মধ্যে হাসান আল-জাবি নামে এক গণমাধ্যমকর্মী ছিলেন। সিরিয়ার সাংবাদিকদের ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় আল-জাবি দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।'

তবে তিনি কোন গণমাধ্যমে কাজ করতেন, তা উল্লেখ করা হয়নি।

যুক্তরাজ্য ভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস সিরিয়ার বিভিন্ন অংশে অবস্থানরত সূত্রদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। 

সওয়েইদার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীর বাড়তি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সংস্থাটি আরও জানায়, সিরিয়ার দক্ষিনাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর ১৫ সদস্য নিহত হয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা দ্রুজ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতায় অংশগ্রহণকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন।

তিনি জানান, পরিস্থিতি শান্ত হলে স্থানীয় কতৃপক্ষের কাছে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তার ভার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, 'যারা আমাদের দ্রুজ গোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে। দ্রুজ গোষ্ঠীর সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের ওপর বর্তায়।'

Comments

The Daily Star  | English
AI-manipulated image of Shahbagh engineering students’ protest, DMP claims

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

1h ago