ট্রাম্পের প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠক আজ, থাকবেন মাস্কও

ওভাল অফিসে দুই মন্ত্রী পরিবেষ্টিত অবস্থায় ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
ওভাল অফিসে দুই মন্ত্রী পরিবেষ্টিত অবস্থায় ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর ঝড়ের গতিতে পেরিয়ে গেছে একটি মাস। ইতোমধ্যে তার মনোনয়ন দেওয়া বেশিরভাগ মন্ত্রী কংগ্রেসের অনুমোদন পেয়ে যাওয়ায় অবশেষে আজ নতুন মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন ট্রাম্প।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি

যেভাবে মন্ত্রী না হয়েও মন্ত্রিসভা বৈঠকে ইলন মাস্ক

পুত্র সন্তান এক্সকে কাঁধে নিয়ে হোয়াইট হাউসে মাস্ক। ছবি: এএফপি
পুত্র সন্তান এক্সকে কাঁধে নিয়ে হোয়াইট হাউসে মাস্ক। ছবি: এএফপি

ক্ষমতা গ্রহনের পর নবগঠিত সরকারি কর্মদক্ষতা দপ্তরের (ডিওজিই) দায়িত্ব পান ধনকুবের ইলন মাস্ক। ট্রাম্প তাকে হাজারো সরকারি কর্মচারী ছাঁটাই করে সরকারের খরচ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ধরিয়ে দেন। আজকের বৈঠকে মাস্কও থাকবেন বলে জানা গেছে।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, ডিওজিই প্রধান হিসেবে মাস্ককে একজন 'বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা' ও 'প্রেসিডেন্টের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ কারণে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বা আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কর্তৃত্ব না থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রিসভা বৈঠকে যোগ দেবেন মাস্ক।

শুধু মাস্ক নন, থাকছেন অন্যান্য বিতর্কিত মন্ত্রীরাও

এই বৈঠকে শুধু মাস্ক নয়, আরও কয়েকজন বিতর্কিত ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।

এই বৈঠকে থাকছেন স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবা দপ্তরের মন্ত্রী (স্বাস্থ্যমন্ত্রী) রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র। তিনি টিকা-বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত

জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ডের বিরুদ্ধেও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে।

ফক্স নিউজের সাবেক সঞ্চালক ও বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেনেডি জুনিয়র। ছবি: এএফপি
মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেনেডি জুনিয়র। ছবি: এএফপি

মার্কিন সিনেট এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের মনোনয়ন দেওয়া সব মন্ত্রীকে অনুমোদন দিয়েছে। কোনো কোনো মন্ত্রীর আগের কাজের রেকর্ড ও অভিজ্ঞতার অভাব নিয়ে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষ থেকে বিরোধিতা আসলেও এতে কাজ হয়নি।

গত নির্বাচনে সিনেটে সামান্য ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি। যার অর্থ, দলের অল্প কয়েকজন সদস্য বিরোধী পক্ষে ভোট দিলেই ট্রাম্প-মনোনীত প্রার্থীদের মন্ত্রিত্ব আটকে যেত। তবে আদতে সেরকম কিছুই হয়নি।

বিশেষজ্ঞদের মত, দলের ওপর ইস্পাত-কঠিন নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছেন ট্রাম্প। যারা দলে থেকেও তার বিরোধিতা করতেন বা করতে সক্ষম ছিলেন, হয় তাদেরকে বিদায় করা হয়েছে অথবা অন্য কোনো ভাবে দমিয়ে রাখা হয়েছে।

ট্রাম্প মনোনীত মন্ত্রীদের মধ্যে অল্প কয়েকজন এখনো সিনেটের অনুমোদনের অপেক্ষা আছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন সাবেক কংগ্রেস সদস্য লোরি শ্যাভেজ-দেরেমার এবং ওয়ার্ল্ড রেসলিং ফেডারেশনখ্যাত লিন্ডা মিকম্যান।

Comments

The Daily Star  | English

Money laundering: NBR traces Tk 40,000cr in assets abroad

The National Board of Revenue has identified overseas assets worth nearly Tk 40,000 crore, accumulated with money laundered abroad from Bangladesh, according to the Chief Adviser’s Office.

30m ago