আরোপের ২ দিনের মধ্যে কানাডা-মেক্সিকোর শুল্ক স্থগিত করলেন ট্রাম্প

তিন নেতা ডান থেকে বামে ট্রুডো, শেইনবম ও ট্রাম্প। ফাইল ছবি: সংগৃহীত
তিন নেতা ডান থেকে বামে ট্রুডো, শেইনবম ও ট্রাম্প। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপের দুই দিনের মধ্যে সেসব শুল্কের অনেকগুলোই স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য খাতে এবং সংশ্লিষ্ট পুঁজিবাজারগুলোতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।

বিবিসি ও নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্প জানান, তার মেয়াদে স্বাক্ষরিত যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা বাণিজ্য চুক্তির আওতায় পড়া পণ্যগুলোকে নতুন আরোপিত ২৫ শতাংশ শুল্ক থেকে ছাড় দেওয়া হবে।

এর একদিন আগে বুধবার মার্কিন গাড়ি নির্মাতাদের ওপর দেওয়া ২৫ শতাংশ আমদানি কর ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করেন রিপাবলিকান নেতা।

তবে তিনি ইঙ্গিত দেন, এই ছাড় স্থায়ী হবে না এবং এপ্রিলে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আসছে।

কানাডা ও মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় দুই বাণিজ্যিক অংশীদার। কিন্তু সাম্প্রতিক শুল্কযুদ্ধের ডাকে দুই দেশের সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। 

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবম ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।

কানাডার অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে আপাতত মার্কিন পণ্যের ওপর দ্বিতীয় ধাপের পাল্টা শুল্ক আরোপ স্থগিত রাখবে কানাডা।

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বৃহস্পতিবার সকালে জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে শুল্ক নিয়ে তার 'উত্তপ্ত' ফোনালাপ হয়েছে।

মার্কিন ও কানাডীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবারের এই ফোনালাপে একাধিকবার অশোভন ভাষা ব্যবহার করেছেন ট্রাম্প।

ট্রুডো এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্যযুদ্ধ আসন্ন।

কানাডা ইতোমধ্যে মার্কিন পণ্যের ওপর ৩০ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের (২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে।

বাজারেও এই সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান পুঁজিবাজার সূচকগুলো নিম্নমুখী ছিল। শীর্ষ ৫০০ মার্কিন কোম্পানির শেয়ারমূল্য পর্যবেক্ষণ করা 'এসঅ্যান্ডপি ৫০০'-র সূচক এক দশমিক আট শতাংশ কমে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago