ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে রিয়াদে রুশ-মার্কিন বৈঠক, যা থাকছে আলোচনায়

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা আজ রিয়াদে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আবারও আলোচনায় বসেছেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম তাস জানিয়েছে, আজ স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় এই বৈঠক শুরু হবে।
রিয়াদের রিৎজ-কার্লটন হোটেলে বৈঠকের আয়োজন করেছে সৌদি মধ্যস্থতাকারীরা।
রুশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত ফেডারেশন কাউন্সিল কমিটির প্রধান গ্রিগোরি কারাসিন ও রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দপ্তরের (এফএসবি) পরিচালকের উপদেষ্টা সের্গেই বেসেদা।

মার্কিন প্রতিনিধিদলে পররাষ্ট্র দপ্তরের পলিসি প্ল্যানিং পরিচালক মাইকেল অ্যান্টন ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ইউক্রেন-রাশিয়া বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কিথ কেলগ ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।
যা নিয়ে আলোচনা
ইতোমধ্যে, মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ এই বৈঠকে কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, সে বিষয়ে সিবিএস নিউজকে আভাস দিয়েছেন।
তিনি জানান, রিয়াদের বৈঠকে কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধবিরতি থাকবে আলোচনার শীর্ষে। রোববার সিবিএস নিউজকে এ কথা জানান তিনি।
এ বিষয়ে সকল পক্ষ একমত হলে আবারও কৃষ্ণ সাগরে মস্কো ও কিয়েভ উভয়ই 'শস্য, জ্বালানি আনা নেওয়া করতে পারবে এবং আবারও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে'।
ওয়ালজ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনার প্রশংসা করে বলেন, 'আমরা শান্তির একেবারে কাছাকাছি পৌঁছে গেছি যা এর আগে কেউ করে দেখাতে পারেনি।'

তিনি সোমবারের বৈঠককে উভয় পক্ষের 'কাছাকাছি আসার' আলোচনা বলে অভিহিত করেন। কৃষ্ণ সাগরে যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি উভয় পক্ষ আরও বড় আকারে যুদ্ধবিরতির খুঁটিনাটি বিষয় নিয়েও আলোচনা করবে বলে জানান ওয়ালজ।
'আমরা নিয়ন্ত্রণ রেখা, যাচাই-বাছাই করার প্রক্রিয়া, শান্তিরক্ষা এবং এখন (ইউক্রেন-রাশিয়ার) সীমান্ত যে অবস্থায় আছে, সেটাকেই চূড়ান্ত রাখার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব', যোগ করেন তিনি।
কিয়েভের জন্য 'আরও বৃহত্তর পরিসরে ও স্থায়ী আকারে শান্তি' এবং 'নিরাপত্তার নিশ্চয়তার' মতো বিষয়গুলোও আলোচনার টেবিলে থাকবে বলে জানান ওয়ালজ।
বুধবার ওয়ালজ জানান, তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক সহযোগী ইউরি উশাকভের সঙ্গে এই বৈঠক নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন।
উশাকভ ফোন কলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রিয়াদের বৈঠকে মূল আলোচনার বিষয়বস্তু হবে 'কৃষ্ণ সাগরে নিরাপদে নৌ চলাচল শুরু'।
গত মঙ্গলবার পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কৃষ্ণ সাগরের বিষয়টি উত্থাপন করেন। রুশ প্রেসিডেন্ট এতে সমর্থন জানান এবং এ বিষয়টির বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আলোচনায় সম্মতি দেন।
Comments