ফিলিস্তিনের সমর্থন করায় যু্ক্তরাষ্ট্রে তুর্কি শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার, ভিসা বাতিল

যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে ফেডারেল এজেন্টরা ওজতুর্ককে গ্রেপ্তারের পর পাউডার হাউস স্কয়ার পার্কে টাফটসের পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জরুরি সমাবেশ। ২৬ মার্চ, ২০২৫। ছবি: রয়টার্স

মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ বোস্টনের কাছে টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তুর্কি ডক্টরেট শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার ও ভিসা বাতিল করেছে। গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলেছিলেন।

আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুমেইসা ওজতুর্ককে মঙ্গলবার রাতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন গ্রেপ্তার করে। তিনি ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভে জড়িত ছিলেন।

ট্রাম্প প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপকে বাকস্বাধীনতার ওপর আক্রমণ হিসেবে নিন্দা করে আসছেন অনেকে। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি বিক্ষোভকারীরা মার্কিন বৈদেশিক নীতিকে ক্ষুণ্ন করতে পারে।

গ্রেপ্তারের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখোশধারী ও সাদা পোশাকের এজেন্টরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ম্যাসাচুসেটসের সমারভিলে ৩০ বছর বয়সী তুর্কি নাগরিককে তার বাড়ির কাছ থেকে হেফাজতে নিয়ে যাচ্ছে।

তার আইনজীবীর মতে, তিনি বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করতে যাচ্ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এক পোস্টে বলেছেন, ওজতুর্ক 'বিদেশি সংগঠন হামাসের সমর্থন' তৎপরতায় জড়িত ছিলেন।

ম্যাকলাফলিন বলেন, 'ভিসা একটি বিশেষাধিকার, অধিকার নয়।'

ফুলব্রাইট স্কলার ও টাফটসের চাইল্ড স্টাডি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের ডক্টরাল প্রোগ্রামের শিক্ষার্থী ওজতুর্ক যে এফ-১ ভিসায় পড়তে যুক্তরাষ্ট্রে যান।

ওজতুর্ক একটি মতামতের সহ-রচয়িতা ছিলেন, যা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। ওই মতামত লেখার এক বছর পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হলো। মতামতে তারা ম্যাসাচুসেটসভিত্তিক টাফটসের সঙ্গে ইসরায়েলি সংস্থার সম্পর্ক ছিন্ন ও 'ফিলিস্তিনি গণহত্যার স্বীকৃতি দেওয়ার' আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ওজতুর্কের আইনজীবী মাহসা খানবাবাই বলেন, 'দেশজুড়ে আমরা যে নমুনা দেখছি, তাতে তার বাকস্বাধীনতা চর্চাই গ্রেপ্তারের মূল কারণ বলে মনে হচ্ছে।'

ওজতুর্ককে গ্রেপ্তারের পরে খানবাবাই মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বলা হয়েছে, ওজতুর্ককে অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।।

টাফটসের প্রেসিডেন্ট সুনীল কুমার এক বিবৃতিতে বলেছেন, গ্রেপ্তারের বিষয়ে তাদের কাছে আগাম কোনো বার্তা ছিল না। এ ধরনের ঘটনা আমাদের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিরক্তিকর হতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia returns home from London

Khaleda Zia, accompanied by her two daughters-in-law Zubaida Rahman and Syeda Sharmila Rahman, is now on way to her Gulshan residence

2h ago