যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিত্রতার সম্পর্ক শেষ: কানাডার প্রধানমন্ত্রী কার্নি 

কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। ছবি: এএফপি

অর্থনীতি থেকে সামরিক, প্রায় সব খাতেই দীর্ঘদিন কানাডার সবচেয়ে বড় মিত্র রাষ্ট্র ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের পর সেই সম্পর্ক ভেঙে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।

আজ শুক্রবার গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কার্নি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের গতিপথ স্থায়ীভাবে বদলে দিয়েছেন ট্রাম্প। তার মতে, ভবিষ্যতে কোনো বাণিজ্য চুক্তি হলেও সেই সম্পর্ক আর 'ফিরে আসবে না'।

'গভীরভাবে একীভূত অর্থনীতি এবং নিরাপত্তা ও সামরিক সহযোগিতার ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের যে পুরোনো সম্পর্ক ছিল, তার সমাপ্তি ঘটেছে,' বলেন কার্নি।

গার্ডিয়ান জানায়, টোকিও থেকে বার্লিন-প্যারিস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব মিত্র সরকারই সম্প্রতি গাড়ি আমদানির ওপর ট্রাম্পের দেওয়া শুল্কের কঠোর সমালোচনা করেছে। কিছু দেশ প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকিও দিয়েছে।

ট্রাম্পের এই শুল্ককে 'অযৌক্তিক' এবং দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তির লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন কার্নি।

তিনি আরও জানান, আজ শুক্রবার কানাডার শীর্ষ ব্যবসায়ী ও প্রাদেশিক প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেবেন।

'এই শুল্কের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করব। আমাদের নিজস্ব শিল্পকে রক্ষা করতে হবে, নিজেদের নতুন করে গড়ে তুলতে হবে,' বলেন কার্নি।

'মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিশোধমূলক বাণিজ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব, যার সর্বোচ্চ প্রভাব পড়বে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর, আর ন্যূনতম প্রভাব থাকবে কানাডার ওপর,' যোগ করেন তিনি।

গতকালই প্রতিশোধমূলক শুল্কের ব্যাপারে কানাডা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, 'কানাডাকে সঙ্গে নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি মার্কিন অর্থনীতির ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাহলে অনেক বড় মাত্রার—বর্তমানের পরিকল্পিত শুল্কের তুলনায় অনেক বড় পরিমাণে শুল্ক আরোপ করা হবে তাদের ওপর।' 

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি হওয়া গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এই সিদ্ধান্ত গাড়ির উৎপাদন কমিয়ে দাম বাড়াবে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধকে আরও তীব্র করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন এ প্রসঙ্গে বলেছেন, 'এই সিদ্ধান্ত ব্যবসার জন্য খারাপ, ভোক্তাদের জন্য আরও খারাপ।'

গত বছর যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৪৭৫ বিলিয়ন ডলারের গাড়ি আমদানি করেছে, যার বেশিরভাগই এসেছে মেক্সিকো, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, কানাডা ও জার্মানি থেকে। 

Comments

The Daily Star  | English

Signs of conspiracies by defeated forces becoming evident: CA

Political parties must make their unity against fascism more visible, says Yunus

9m ago