বেইজিং-ওয়াশিংটনের বক্তব্যে বাণিজ্য যুদ্ধ অবসানের ইঙ্গিত

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিন পিং। কোলাজ ছবি: এএফপি
ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিন পিং। কোলাজ ছবি: এএফপি

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্যে দুই দেশের শুল্ক-বাণিজ্য যুদ্ধ অবসানের আভাস পাওয়া গেছে। এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।

আজ বুধবার এএফপির প্রতিবেদনে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

চীন জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনায় কোনো বাধা নেই।

এক দিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের পণ্য আমদানিতে আরোপিত শুল্ক 'উল্লেখযোগ্য পরিমাণে' কমানোর দিকে ইঙ্গিত দেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন বেইজিংয়ের এক দৈনিক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'চীন আরও আগেই উল্লেখ করেছে যে শুল্ক যুদ্ধ ও বাণিজ্য যুদ্ধে কেউ জয়ী হয় না।

'(যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) আলোচনার দরজা খোলা আছে', বলেন তিনি।

এর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, শুল্ক আরোপের উদ্যোগ সব দেশের স্বার্থ পরিপন্থী।

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে বৈঠকে শি মন্তব্য করেন, বাণিজ্য যুদ্ধ 'সব দেশের বৈধ অধিকার ও স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করে, বহুপাক্ষিক বাণিজ্যিক ব্যবস্থার ক্ষতি করে এবং সার্বিকভাবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।'

এমন সময় শি এই মন্তব্য করলেন যখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুই অর্থনৈতিক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের মধ্যে সব ধরনের সম্পর্ক কার্যত স্থবিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বেইজিং-ওয়াশিংটন সাম্প্রতিক সময়ে একে অপরের রপ্তানি পণ্যের ওপর শাস্তিমূলক ও অযৌক্তিক শুল্ক আরোপ করেছে।

চীন থেকে আসা বেশিরভাগ পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। অপরদিকে, চীনও মার্কিন পণ্য আমদানিতে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

দুই পরাশক্তির এই বাণিজ্য যুদ্ধে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০২৫ সালের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস তিন দশমিক তিন শতাংশ থেকে কমিয়ে দুই দশমিক আট শতাংশ করেছে। 

তবে আজ ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ইতিবাচক বক্তব্যের পর বৈশ্বিক পুঁজিবাজারে খানিকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।

ট্রাম্প ও তার কর্মকর্তাদের বক্তব্যে শিগগীর বেইজিং-ওয়াশিংটন বাণিজ্য চুক্তির আভাস পেয়েছেন বিশ্লেষকরা।

মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানান, চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় এবং তিনি আশা করছেন উভয় পক্ষ শিগগির বাণিজ্য চুক্তি করবে।

বেসেন্টের মন্তব্যের পর ট্রাম্প স্বীকার করেন, চীনের আমদানি পণ্যে আরোপ করা শুল্ক 'অনেক বেশি' এবং শিগগীর 'এটা উল্লেখযোগ্য আকারে কমে আসবে'।

'(শুল্ক) বর্তমান হারের ধারেকাছেও থাকবে না তখন', যোগ করেন ট্রাম্প। 

ট্রাম্প আরও বলেন, 'তবে এই শুল্ক একেবারে শূন্যতেও নেমে আসবে না।'

'পরিশেষে, তাদেরকে চুক্তিতে আসতেই হবে, কারণ চুক্তি না করলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা ব্যবসা করতে পারবে না', যোগ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Comments

The Daily Star  | English

Govt at it again, plans to promote retirees

"A list of around 400 retired officials is currently under review though it remains unclear how many of them will eventually be promoted"

7h ago