'ট্রাম্পের শুল্কে নিম্ন আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে'

ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন। ছবি: এএফপি
ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন। ছবি: এএফপি

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশন প্রধান উরসুলা ভন ডার লিয়েন। তিনি মত দেন, এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হবেন দরিদ্ররা। 

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সব বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর বহুল আলোচিত পাল্টা শুল্কারোপের (রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ) ঘোষণা দেন ট্রাম্প। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যে ২০ শতাংশ শুল্কারোপ করেন তিনি।

ট্রাম্পের দাবি, মার্কিন প্রশাসনের জন্য হাজারো বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আনতে এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে ন্যায্যতা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যেই তিনি এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। ৫০ বছর ধরে করদাতাদের ছাড় দেওয়া হলেও তা এবার বন্ধ হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এই উদ্যোগের ফলে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি ও কারখানাগুলো ফিরে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

তবে তার এই পদক্ষেপকে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে অভিহিত করেছেন ইউরোপীয় কমিশন প্রধান। লাখো মানুষের ওপর এই শুল্কারোপের ভয়াবহ প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

উরসুলা বলেন, 'এই অতিরিক্ত শুল্কের কারণে নিত্যপণ্য, পরিবহন ও ঔষধের দাম বেড়ে যাবে। এতে নিম্ন আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।'

তবে বিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থায় গুরুতর ত্রুটি রয়েছে বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। শুল্কারোপের বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইইউ প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে প্রয়োজনে পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুতি রয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন ইউরোপীয় কমিশন প্রধান।

বুধবার হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে আরোপিত মার্কিন শুল্ক নিয়ে নিন্দা জানিয়েছেন আরও অনেকে। ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতির বিদ্যমান ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে বাণিজ্যযুদ্ধের সূত্রপাত করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Comments

The Daily Star  | English

Putin declares 'Easter ceasefire' in Ukraine

"Based on humanitarian considerations ... the Russian side announces an Easter truce. I order a stop to all military activities for this period," Putin told his military chief Valery Gerasimov at a meeting in the Kremlin

22m ago