‘ইসরায়েলিরা অন্তত একরাত বুঝুক, গাজায় আমরা ২০ মাস কোন পরিস্থিতিতে আছি’

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইসরায়েলের বেনি ব্রাক এলাকা। ছবি: রয়টার্স

ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার সাম্প্রতিক সংঘাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন গাজার অধিবাসীরা। ইসরায়েলের অমানবিক টানা হামলায় গাজায় প্রতিদিন শিশুসহ ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মৃত্যু হচ্ছে। তার মধ্যে ইরানের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাতে পুরো পৃথিবীর দৃষ্টি গাজা থেকে সরে যেতে পারে বলে উদ্বেগ তাদের।

অনেক ফিলিস্তিনি স্বীকার করেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলি ভবন ধসে পড়া এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া ইসরায়েলিদের দেখে তাদের মধ্যে এক ধরনের তৃপ্তি অনুভূত হয়েছে।

কিন্তু, পরক্ষণেই সেই অনুভূতি ম্লান হয়ে যাচ্ছে এটা ভেবে যে পুরো বিশ্বের মনোযোগ গাজা থেকে সরে যাচ্ছে। অথচ, প্রায় ২০ মাসের যুদ্ধ, অবরোধ এবং মানবিক বিপর্যয় চলছে গাজায়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বিমান হামলায় স্ত্রী, তিন সন্তান ও ভাই হারানো ফিলিস্তিনি হাসান ওমর তালবা বলেন, 'ইরান গাজায় কখনও একটি স্কুল বা হাসপাতাল বানায়নি, এমনকি এক ট্রাক সাহায্যও পাঠায়নি। তারা কখনও একজন আহত ব্যক্তির চিকিৎসাও করেনি। তারা শুধু হামাসকে রকেট দিয়েছে, আর আমাদের অতল গহ্বরের কিনারায় নিয়ে গেছে।'

অবশ্য তিনি এটাও বলেন, 'ইসরায়েলে যারাই হামলা করবে তাকেই আমি সমর্থন করি। ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকরা অন্তত একটা রাতের জন্য হলেও সেই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাক, যা আমরা টানা ২০ মাস ধরে সহ্য করেছি।'

পাঁচ সন্তানের জনক আলা সালেহও একই ধরনের হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, 'এখানে (গাজায়) যুদ্ধ থামেনি। মৃত্যু, ক্ষুধা, বাস্তুচ্যুতি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু এখন ইরানে যা হচ্ছে, তাতে পুরো বিশ্ব বিভ্রান্ত। এমনকি মিডিয়াও এখন গাজার খবর প্রচার করা বন্ধ করে দিয়েছে।'

আজ আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ১১ জন ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন।

ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, এসব ইসরায়েলি হামলায় ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

‘We knew nothing about any open letter’

Journalist Bibhuranjan’s son says after identifying his body

7h ago