বেইজিংয়ে ভারী বৃষ্টিপাত-ভূমিধসে মৃত ৩০

ভারি বৃষ্টিপাত-ভূমিধসে জর্জরিত চীনের উত্তরাঞ্চল। ছবি: এএফপি
ভারি বৃষ্টিপাত-ভূমিধসে জর্জরিত চীনের উত্তরাঞ্চল। ছবি: এএফপি

চীনের রাজধানী বেইজিং শহরে ভারী বৃষ্টিপাত ও ভূমিধসে অন্তত ৩০ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি, চীনের উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে হাজারো মানুষকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

পার্শ্ববর্তী তিন শহর বেইজিং, হেবেই ও তিয়ানজিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রার বৃষ্টিপাত-ঝড়ের সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তর।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম শিনহুয়া জানিয়েছে উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণ চীনের আরও ১০ প্রদেশেও একই ধরনের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বুধবার পর্যন্ত বৈরি আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

শিনহুয়া বেইজিংয় পৌরসভার বন্যা নিয়ন্ত্রণ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, 'সর্বশেষ ভারী বর্ষণে বেইজিংয়ে ৩০ ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।'

বেইজিং ডেইলি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছে, শুধু বেইজিং থেকেই ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ অবস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

নগর কেন্দ্রের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত মিইউন জেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন।

মিইউন শহরতলীর বাসিন্দা জিয়াং এএফপিকে বলেন, 'বছরের এ সময়ে এ ধরনের বৃষ্টিপাত অস্বাভাবিক। এরকম সাধারণত হয় না।'

'শহরের রাস্তাগুলোতে পানি উঠেছে। কেউ কাজে যেতে পারছে না', যোগ করেন তিনি।

মিইউন শহরতলীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ছবি: এএফপি
মিইউন শহরতলীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ছবি: এএফপি

শিনহুয়া আরও জানিয়েছে, রাজধানীর উত্তরে হুয়াইরোউ জেলা ও দক্ষিণ-পশ্চিমের ফাংশানেও পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে পড়েছে।

বেইজিং ডেইলি জানায়, ১০-২০টি সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে এবং ১৩০টিরও বেশি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

একটি বৃদ্ধ নিবাস থেকে ৪৮ ব্যক্তিকে দমকলকর্মীরা উদ্ধার করেন।

আজ মঙ্গলবার সিসিটিভি জানিয়েছে, সরকার ভারী বৃষ্টিপাতে আক্রান্ত নয়টি অঞ্চলে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৩৫০ মিলিয়ন ইউয়ান (৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বরাদ্দ দিয়েছে।

অঞ্চলগুলো হলো বেইজিংয়ের উত্তরাঞ্চল, তিয়ানজিন, হেবেই, শানজি, শ্যানজি, ইনার মঙ্গোলিয়া, উত্তর-পূর্ব জিলিন, পূর্ব শানডং ও দক্ষিণ গুয়াংডং।

শুধু রাজধানীর জন্য ২০০ মিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

Comments