ফ্যাশনে কো-অর্ড
যারা সকালে অফিসে কিংবা ক্লাসে যাওয়ার সময় আর ১৫ মিনিট বেশি ঘুমাতে পারলে ভালো লাগত বলে আফসোস করেন কিংবা জামার সঙ্গে কোন সালোয়ার মানাবে, কোন টপের সঙ্গে কী বটম পরবেন তা নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় পার করে দেন, তাদের জন্য কো-অর্ড আশীর্বাদ।
মিনিমাম এফোর্টে ম্যাক্সিমাম স্টাইল শুধু কো-অর্ড ফ্যাশনেই সম্ভব।
কো-অর্ড টু-পিস সেট নামেও পরিচিত। এটি এমন একটি পোশাক, যা একই রং এবং প্রিন্টের কাপড় দিয়ে তৈরি। ম্যাচিং আপার ও বটমের সমন্বয়।
কো-অর্ডের সেট একসঙ্গে পরার জন্যই ডিজাইন করা হয়। সবচেয়ে দারুণ বিষয় হলো, এর স্টাইল নিয়ে আলাদা করে চিন্তার প্রয়োজন হয় না।
আপার আর বটম একই রকম হলে অস্বস্তি লাগতে পারে বলে অনেকে নিউট্রাল কালার বেছে নেন। নিউট্রাল কো-অর্ড সেটে অভ্যস্ত হয়ে উঠলে, তখন সব কম্বিনেশনই ট্রাই করা যায়।
১৬০০ শতকে ব্রিটেনের নারীরা টপ ও স্কার্ট একই রকম পরতেন এবং সেখান থেকেই এই স্টাইল এসেছে বলে ধারণা করা হয়।
১৬৬৬ সালে দ্বিতীয় চার্লস কো-অর্ডের একটি নতুন বৈচিত্র্য প্রবর্তন করেন। সেটাই আমরা এখন আধুনিক থ্রি-পিস স্যুট হিসেবে দেখতে পাই।
ইদানিং কো-অর্ড সেটের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। প্রিন্টেড হোক বা সলিড কালার ট্রেন্ডে এখন এদেরই রাজত্ব। একরঙা বা মনোক্রোমের ক্ষেত্রে হট পিঙ্ক, নিয়ন, সাদা-কালো-ধূসর প্যালেট, হলুদ আর প্যাস্টেল শেডের কো-অর্ড বেছে নিচ্ছেন অনেকে।
প্রিন্টের ক্ষেত্রে ফুলেল নকশা, অ্যানিমেল প্রিন্টসহ সব ধরনের প্রিন্টই দেখা যাচ্ছে কো-অর্ড সেটে। পার্টি-লুকে একরঙা ঝলমলে ফ্যাব্রিকের কো-অর্ড আউটফিট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সময়ের সাথে।
ট্র্যাডিশনাল এথনিক ওয়্যার যাদের পছন্দ, তারাও কো-অর্ড স্টাইল ট্রাই করতে পারেন। প্রি-স্টিচড কো-অর্ড শাড়ি সেট এক্ষেত্রে তালিকার প্রথমে আসতে পারে। প্রিন্টেড লেহেঙ্গা সেটও থাকতে পারে পছন্দের লিস্টে।
ক্রপ টপের সঙ্গে ম্যাচিং পালাজো পরে নেওয়া যাবে অনায়াসে। কেপ স্টাইল টপের সঙ্গেও এর জোড় জমজমাট। লুকে বোহেমিয়ান ভাইব চাইলে পেপলাম ব্লাউজের সঙ্গে সারারা প্যান্টের যুগলবন্দী সেরা।
বিন সাইদ, লা মোসাইক, অল্টার ইগো ইন্ডিয়া, ফ্যান্সি পেটেলস, ফেবনেস্ট, জারা, এপিজেডসহ সব বড় বড় ব্র্যান্ড কাজ করছে কো-অর্ড নিয়ে।
বাংলাদেশে বিন সাইদ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে সালোয়ার-কামিজের জন্য। তবে দেশি ব্র্যান্ডগুলোও এখন কো-অর্ড নিয়ে কাজ করছে। বৈচিত্র্য দেখা যাচ্ছে তাদের পোশাকেও।
তথ্যসূত্র: স্টাইল অ্যান্ড স্টাইল বাই জর্জে
Comments