ড্রিম গার্ল সাদিয়া ইসলাম মৌ
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/very_big_201/public/images/2023/08/31/mou1.jpg?itok=A81R635O×tamp=1693487193)
নিপুণ বুননে পার্পেল রংয়ের ঐতিহ্যবাহী জামদানি, সাদা লং গাউন কিংবা রংচটা জিনসের সঙ্গে চেক শার্ট—এসব পোশাকে প্রমাণ পাওয়া যায়, কেন তিনি ৩ দশকেরও বেশি সময় ধরে এ দেশের মানুষের ড্রিম গার্ল হয়ে আছেন।
স্টার লাইফস্টাইলের জন্য এক্সক্লুসিভ ফটোশুটের প্রস্তুতির সময় সাদিয়া ইসলাম মৌয়ের সঙ্গে কথা হয় নানা বিষয়ে।
মৌ বাংলাদেশের প্রথম সারির একজন সুপারমডেল। নিজের পুরো ক্যারিয়ারের মধ্যে ৯০ দশকে তিনি সবচেয়ে বেশি লাইমলাইটে ছিলেন, বিশেষ করে তার মডেলিং ক্যারিয়ারের জন্য।
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2023/08/31/mou2.jpg?itok=Ii8aaUi1×tamp=1693487938)
নিজের গ্ল্যামার ও মাধুর্য দিয়ে কোটি মানুষের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হয়েছিলেন মৌ এবং ২ দশকের বেশি সময় ধরে তিনি দেশের টিভি পর্দায় নিজের আধিপত্য ধরে রাখেন।
তবে, তার ভক্তরা চরম হতাশ হন, যখন মৌ টেলিভিশনে উপস্থিতি কমিয়ে পরিবারের প্রতি মনোযোগ দেন এবং নিজের পুরো সময়টা দেন সন্তানদের জন্য।
বলা বাহুল্য, দর্শকরা তার ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন। তারা তাদের প্রিয় তারকাকে আবারও টেলিভিশনের পর্দায় দেখতে চেয়েছেন।
সাদিয়া ইসলাম মৌ জানান, তিনি কখনোই তার ভক্তদের একেবারে ছেড়ে যাননি।
তার ভাষ্য, 'বলা হয়, আমি ৯০-এর দশকে বেশি কাজ করেছি। এর কারণ, তখন শুধু একটি টিভি চ্যানেল ছিল এবং আমার করা বিজ্ঞাপনগুলো সারা বছরই প্রচারিত হতো। মানুষ সেটাকে সারা বছর কাজ করছি ভেবে ভুল করেন। আসলে একই বিজ্ঞাপন, একই জিঙ্গেল বারবার বাজানো হতো।'
তিনি বলেন, 'এখনো আগের মতোই আছি। বেছে বেছে অভিনয় বা মডেলিংয়ের কাজগুলো করি। স্ক্রিপ্ট পছন্দ হলে তখনই কেবল কাজ করা হয়। আমি আগের মতো এখনো আমার ভক্তদের মুগ্ধ করতে প্রস্তুত। কিন্তু, কাজের জন্য আমার চরিত্রটি হতে হবে আকর্ষণীয় এবং আমার পার্সনালিটির সঙ্গে মানানসই।'
সারা বিশ্ব যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে ব্যস্ত, তখন ডিজিটাল দুনিয়ায় সাদিয়া ইসলাম মৌয়ের দেখা নেই।
মৌ বলেন, 'সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার এবং সেখানে ব্যক্তিগত কাজের প্রচারের বিষয়ে আমার কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু, আমি আমার ব্যক্তিগত জগতকে সবকিছু থেকে আলাদা রাখতেই পছন্দ করি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের মধ্যে একটা রেখা টানা উচিত। এটা শান্তি বজায় রাখতে এবং ব্যক্তিগত জীবনকে নিরাপদ রাখতে সহায়ক।'
অনেকে মনে করেন মৌ বিনোদন জগত থেকে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও তার ফ্যাশন সচেতনতা এখনো আগের মতোই নিখুঁত।
এ বিষয়ে মৌয়ের ভাষ্য, 'আপনি কী পরছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। পোশাকটা আরামদায়ক হওয়া উচিত এবং পোশাকটির প্রতি নিজের আত্মবিশ্বাস থাকা প্রয়োজন।'
তিনি বলেন, 'যদি স্বল্প পোশাকে অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে অবশ্যই সেটা আপনার জন্য মানানসই না। শাড়ির ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। যদি শাড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তাহলে আপনার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই অন্য কিছু পরুন—হতে পারে কুর্তি বা প্লেইন জিনসের সঙ্গে টপ।'
তিনি আরও বলেন, 'আপনাকে যেটাতে মানায়, সেটাই পরুন। জানার চেষ্টা করুন, কোন পোশাকে আপনাকে সুন্দর দেখায়। এর জন্য কিন্তু আপনাকে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না।'
ভক্তদের উদ্দেশ্যে মৌ বলেন, 'সব সময় মনে রাখতে হবে, জীবনের কোনো শর্টকাট নেই। মাঝে মাঝেই মনে হয়, জীবনের সমস্যাগুলোর যদি খুব সুন্দর সমাধান থাকত। কিন্তু আসলে তা নেই। কেবল কঠোর পরিশ্রম ও প্রচেষ্টাই পারে আপনাকে গন্তব্যে নিয়ে যেতে। কঠোর পরিশ্রম করুন, অবশ্যই সফল হবেন।'
মডেল: সাদিয়া ইসলাম মৌ; ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড স্টাইলিং: মাহমুদুল হাসান মুকুল; পোশাক: মেহের বাই সামিনা সারা; মেকআপ: সুমন রাহাত; হেয়ার: শিউলি আক্তার; আইডিয়া: সোনিয়া ইয়াসমিন ইশা
Comments