কাঁচা কাঁঠালের কাবাব খেয়েছেন কখনো?

কাবাব তৈরির কাজটা একটু ঝামেলার হলেও একসঙ্গে অনেকগুলো বানিয়ে ফ্রোজেন করে রাখা যায়।
ছবি: সংগৃহীত

কতশত ধরনের কাবাবের নামই না শুনেছেন। কিন্তু কাঁচা কাঁঠাল দিয়েও বানানো যায় সুস্বাদু কাবাব, তা জানেন কয়জন? কাবাব তৈরির কাজটা একটু ঝামেলার হলেও একসঙ্গে অনেকগুলো কাবাব বানিয়ে ফ্রোজেন করে রাখা যায়।

প্রথমে কাঁঠালের ভেতরে অংশটা কেটে নিতে হবে। কাটাকাটির জন্য একটা ছোট্ট টিপস। কাঁচা কাঁঠাল কাটার আগে হাতে আর বটিতে ভালো করে সরিষার তেল মাখিয়ে নিলে কাঁঠালের আঠা থেকে মুক্তি মিলবে সহজেই। তারপর পানিতে সামান্য হলুদ আর লবণ মিশিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে কাঁচা কাঁঠাল। হলুদ মেশানোর কারণে কাঁঠালের কালচে ভাবটা আর থাকবে না।

এক কেজি পরিমাণ সেদ্ধ কাঁঠালের জন্য দেড় কাপ বুটের ডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে ৪-৫ ঘণ্টা। ভেজানোর ডাল এক চা-চামচ হলুদ গুঁড়া, তিনটি তেজপাতা, ইঞ্চি চারেক দারচিনি, আস্ত শুকনো লাল মরিচ, এক চা-চামচ রসুন বাটা, দেড় চা-চামচ আদা বাটা, স্বাদ মতো লবণ আর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন বাড়তি পানি না থাকে। খানিকটা ঠান্ডা হয়ে এলে ব্লেন্ডারে অথবা পাটায় যতটা সম্ভব মিহি করে বেটে নিতে হবে।

বুটের ডাল ও কাঁঠাল বাটা মিশ্রণের মধ্যে পুদিনা পাতার কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, ভাজা জিরার গুঁড়ো এক চা-চামচ, গরম মসলা গুঁড়ো এক চা-চামচ যোগ করতে হবে। সঙ্গে দিয়ে হবে পেঁয়াজ বেরেস্তা এক কাপ পরিমাণ। পেঁয়াজ বেরেস্তার ক্ষেত্রে মোটেই কৃপণতা করা যাবে না।

এই মিশ্রণটিতে বাইন্ডিংয়ের জন্য দুই টেবিল চামচ কনফ্লাওয়ার অথবা বিস্কিটের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। সবগুলো উপকরণ মিশিয়ে ভালো করে মেখে নিন। এবার এই মিশ্রণ থেকে কাবাব তৈরি করে নিন। সবগুলো কাবাব তৈরি হলে ফোটানো ডিমে চুবিয়ে গরম তেলে বাদামি করে এপিঠ-ওপিঠ ভেজে তুলে নিন। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল কাঁচা কাঁঠালের কাবাব।

ভাত, বিরিয়ানি, পোলাও, ফ্রাইড রাইস—সব কিছুর সঙ্গেই দারুণ মানিয়ে যাবে এই কাবাব। অথবা বিকেলের নাশতায় চায়ের সঙ্গেও জমে যাবে এই কাঁঠালের কাবাব।

Comments