মিষ্টি আলু কেন এত উপকারী

মিষ্টি আলুর উপকারিতা
ছবি: সংগৃহীত

মিষ্টি আলু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টে ভরপুর এক সুপারফুড। এর উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি।

মিষ্টি আলুর পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

পুষ্টিবিদ নিশাত বলেন, মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ, ফাইবার বা আঁশ, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। এছাড়া ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট কার্বোহাইড্রেটের ভালো উৎস এটি। এতে প্রোটিনও রয়েছে।

মিষ্টি আলু খাওয়ার উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি গ্রহণে ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়।

১. মিষ্টি আলুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার ঝুঁকি কমায়। বিশেষত বর্তমানে স্তন ক্যানসারের মাত্রা বেড়ে গেছে। এর ঝুঁকি কমাতে মিষ্টি আলু সহায়ক।

২. মিষ্টি আলু পাকস্থলীর ক্যানসার ও আলসারের ঝুঁকি কমায়।

৩. হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৪. ভিটামিন এ এর অভাবে চোখে নানা সমস্যা ও রাতকানা রোগ হয়। ভিটামিন এ সমৃদ্ধ হওয়ায় মিষ্টি আলু চোখ ভালো রাখতে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।

৫. ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় মিষ্টি আলুর গুরত্ব রয়েছে।

৬. শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ এবং শারীরিক সুস্থতার জন্য পুষ্টির ভালো উৎস হিসেবে মিষ্টি আলু অনেক উপকারী। যেসব শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ বিলম্বিত হয় সেসব শিশুর অনেক সময় খাবার গ্রহণে অনীহা থাকে। তাদের জন্য মিষ্টি আলুর তৈরি বিভিন্ন খাবার রাখা যেতে পারে খাদ্যতালিকায়।

৭. মিষ্টি আলু পাকস্থলীর ক্যানসার ও আলসারের ঝুঁকি কমায়।

৮. যাদের কোষ্টকাঠিন্য আছে তাদের জন্য মিষ্টি আলু বেশ উপকারী।

৯. শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক।

মিষ্টি আলু খাওয়ায় সতর্কতা

পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন বলেন, মিষ্টি আলু অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়। বিশেষত অনেকেই খোসাসহ পুড়িয়ে মিষ্টি আলু খান। এ ধরনের অতিরিক্ত পুড়ে যাওয়া খাবার হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে। বেশি পরিমাণে মিষ্টি আলু খেলে বদহজম ও পেটে ব্যথা হতে পারে।

মিষ্টি আলুতে প্রচুর পটাসিয়াম রয়েছে। এতে হাইপারকেলিমিয়া অর্থাৎ রক্তে পটাসিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যে রোগীদের পটাসিয়াম খাওয়ায় বিধিনিষেধ রয়েছে, বিশেষ করে কিডনি রোগীদের খাদ্যতালিকায় মিষ্টি আলু কম রাখাই ভালো।

এছাড়া হৃদযন্ত্রের সমস্যা আছে এমন রোগীদের অত্যাধিক পটাসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া ঠিক নয়। শরীরে পটাসিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে। মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট, যা কিডনিতে জমে পাথর তৈরির কারণ হতে পারে। তাই বেশি পরিমাণে মিষ্টি আলু খাওয়া ঠিক নয়, যাদের কিডনিতে পাথর আছে তাদের খাদ্যতালিকা থেকে মিষ্টি আলু বাদ দেওয়াই ভালো।

 

Comments

The Daily Star  | English

The life cycles of household brands

For many, these products are inseparable from personal memory

14h ago