পুঁইশাকে মিলবে যেসব উপকারিতা, সতর্ক থাকতে হবে কাদের

পুঁইশাকের উপকারিতা
ছবি: সংগৃহীত

পুঁইশাক অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি শাক। সহজলভ্য এই শাক প্রায় সারাবছরই কমবেশি পাওয়া যায়। পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন স্পেশালাইজড গ্যাস্ট্রোলিভার কেয়ারের পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহানের কাছ থেকে।

পুঁইশাকের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান বলেন, পুঁইশাকে পানির পরিমাণ অনেক বেশি, এতে ফাইবার বা আঁশও প্রচুর পরিমাণে থাকে। পুঁইশাক গাঢ় সবুজ রঙের। এতে ফলিক অ্যাসিডের পরিমাণও বেশি। এতে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ রয়েছে এবং প্রোটিনের ভালো উৎস এই শাক।

১. পুঁইশাকে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

২. পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ রয়েছে, যা হজমে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

৩. পুঁইশাকে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

৪. প্রাণিজ প্রোটিনের পরিবর্তে অনেকেই উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ করতে আগ্রহী, বিশেষ করে যারা ডায়েট করেন। তাদের খাদ্যতালিকায় পুঁইশাক রাখতে পারেন, যেহেতু এতে ফাইবার ও প্রোটিন ভালো পরিমাণে পাওয়া এবং অল্প পরিমাণে খেলেই পেট ভরে যায়।

৫. পুঁইশাকে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। এছাড়া গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম অর্থাৎ এটি রক্তে অল্প অল্প করে সুগার দেয়। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরাও পুঁইশাক খেতে পারেন, উপকারী তাদের জন্য।

৬. পুঁইশাকে পানির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

সতর্কতা

পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান বলেন, পুঁইশাক সাধারণত পুষ্টিকর একটি শাক। তবে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে এবং পরিমাণে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার কারণে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন-

  • শাকের মধ্যে পুঁইশাক অনেক অ্যালার্জিক। এটি সবার জন্য উপযোগী নাও হতে পারে। বিশেষ করে যাদের অ্যালার্জি প্রবণতা আছে তাদের জন্য পুঁইশাক অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
  • খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি, চুলকানি হতে পারে। অনেকের শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গে চুলকানি, অস্বস্তি, হজমজনিত সমস্যা হয়। অনেকেই বুঝতে পারেন না এই সমস্যাগুলো মূলত পুঁইশাকে অ্যালার্জির কারণে হতে পারে।
  • পুঁইশাকে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে যাদের লো পিউরিন ডায়েট করতে হয়, প্রোটিন খাওয়ায় বিধিনিষেধ আছে, তাদের খাদ্যতালিকা থেকে পুঁইশাক বাদ দিতে হবে বা প্রয়োজন মতো কমিয়ে নিতে হবে।
  • কিডনি রোগীদের প্রোটিন কম খাওয়ার কথা বলা হয়। সে কারণে কিডনিজনিত রোগ যাদের আছে তাদের খাদ্যতালিকায় পুঁইশাক কম পরিমাণে রাখতে হবে। এছাড়া পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট রয়েছে, যা কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। পুঁইশাক অনেক বেশি পরিমাণে খাওয়ার কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
  • এছাড়া গাউট বা গেঁটে বাত যাদের রয়েছে তাদের খাদ্যতালিকায় পুঁইশাক কম রাখাই ভালো।

 

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

3h ago