স্মারকগ্রন্থ উন্মোচনে বক্তারা

‘আসাদ চৌধুরী স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত না হওয়া দুঃখজনক'

ছবি: সংগৃহীত

বাংলা সাহিত্যে কবি আসাদ চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ কবি ও স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তার চিন্তা—চেতনা ও আদর্শ জাতীয় জীবনে চর্চা  অনিবার্য। তিনি দেশের কল্যাণ ও স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেছেন। তাই রাষ্ট্রীয়ভাবে কবি আসাদ চৌধুরীকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন জরুরি। তার মতো একজন কবি স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত না হওয়া দুঃখজনক বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা।

শুক্রবার (২৪ মে) বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে কাঠপেন্সিল সাহিত্য সংসদের 'কবি আসাদ চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ'র মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেছেন বিশিষ্টজনরা।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক সিরাজ উদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, কবি আসাদ মান্নান, কবি আসাদ চৌধুরীর স্ত্রী সাহানা চৌধুরী, অধ্যাপক সুকোমল বডুয়া কবি জীবনের নানা স্মৃতি নিয়ে আলোকপাত করেন। কথাসাহিত্যিক আতা সরকার, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আখন্দ, অধ্যাপক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, কবি ইমরান মাহফুজও স্মৃতিচারণ পর্বে যুক্ত হন।

কবি আবিদ আজমের সঞ্চালনে আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেন, মানুষের প্রতি সমাজের প্রতি সম্পৃক্তি, সৌহার্দ্য আসাদ চৌধুরীর কবিতার প্রধানতম বৈশিষ্ট্য। তার কবিতায় বারবার উঠে এসেছে বাঙালি জাতীয়তাবাদ।

অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন আবৃত্তিশিল্পী নাসিম আহমেদ, শায়লা আহমেদ, তারিক হাসিব, আলমগীর ইসলাম শান্ত ও তালহা বিন শরীফ। অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন ঐশিকা নদী।

৪৪৮ পাতার এই স্মারকগ্রন্থে বাংলাদেশের প্রথিতযশা লেখক, কবি, কথাসাহিত্যিকদের ৭৪টি প্রবন্ধ, ৩০টি কবিতা ঠাঁই পেয়েছে। আসাদ চৌধুরীর ৫টি কবিতা অনূদিত হয়েছে এই গ্রন্থে।

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu: From student union to shaping Bangladesh’s politics

From Language Movement to anti-Ershad protests, Dhaka University’s student body left a lasting mark on national history

1h ago