আবুল কালাম শামসুদ্দীন

বিস্মৃত এক সম্পাদক

বাঙালি মুসলমানের জাগরণে দৈনিক পত্রিকা ‘আজাদ’ এর গুরুত্ব অপরিসীম। এই উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিদায়কালে, দেশভাগ, পাকিস্তানের জন্ম, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, মন্বন্তর, পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে নানাবিধ বিষয়ের টানাপোড়েন এবং পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে  বৈষম্য; ইতিহাসের এইসব সন্ধিক্ষণ এবং বাঁক বদলের সাক্ষী মওলানা আকরম খাঁর মালিকানাধীন পত্রিকা ‘আজাদ’। শুধু সাক্ষী নয় , ঘটনার ভেতর-বাহিরের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণেও পত্রিকাটি বিবিধ ভূমিকা পালন করেছে।

বাঙালি মুসলমানের জাগরণে দৈনিক পত্রিকা 'আজাদ' এর গুরুত্ব অপরিসীম। এই উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশ উপনিবেশের বিদায়কালে, দেশভাগ, পাকিস্তানের জন্ম, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, মন্বন্তর, পাকিস্তান সৃষ্টির পর পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে নানাবিধ বিষয়ের টানাপোড়েন এবং পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে  বৈষম্য; ইতিহাসের এইসব সন্ধিক্ষণ এবং বাঁক বদলের সাক্ষী মওলানা আকরম খাঁর মালিকানাধীন পত্রিকা 'আজাদ'। শুধু সাক্ষী নয় , ঘটনার ভেতর-বাহিরের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণেও পত্রিকাটি বিবিধ ভূমিকা পালন করেছে।

সংবাদপত্র যেভাবে ও যত প্রকারে রাজনীতি-অর্থনীতি-সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে আজাদ সেখানেও সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন। একারণে ইতিহাস জন্ম দিয়েছে 'আজাদ যুগ' নামে মাইলফলক এক যুগের। বাঙালি মুসলমানের আত্মসত্তার নির্মিতির যুগে 'আজাদ'কে যিনি সম্পাদকীয়তার নৈপুণ্যে সময়ের শ্রেষ্ঠ দৈনিকে পরিগণিত করেছিলেন তিনি হলেন আবুল কালাম শামসুদ্দীন। 'আজাদ' এর প্রকাশক মওলানা আকরম খাঁর সার্বক্ষণিক পৌরহিত্যে পত্রিকাটি প্রকাশিত হলেও এর চালিকাশক্তি ছিলেন তিনি। ১৯৩৬ সালে উনি আজাদ এর সঙ্গে যুক্ত হন, পদ সহকারি সম্পাদক।

শুরুর দিকে 'আজাদ' এর সকল কিছুই দেখভাল করতেন খাঁ সাহেব। উনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সাংবাদিকতার প্রতিই ছিল দুর্নিবার আকর্ষণ, দুর্বলতা ও গভীরতর ভালবাসা। সমাজ পরিবর্তনে এবং রাষ্ট্রের যে কোন বিষয়ের নীতি নির্ধারণে পত্রিকা যে সহায়ক শক্তিরূপে কাজ করতে পারে এই প্রতীতিতে গভীর প্রত্যয় ও আস্থা রেখেছিলেন। সেই লক্ষ্য জারি রেখে উড্ডীন রেখেছিলেন সাংবাদিকতা ও সম্পাদকীয়তার পতাকা। কিন্তু শারীরিক দুর্বলতার কারণে এই অভ্যস্ততার ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে পারেননি। সরে দাঁড়ান সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে। তখন আজাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন যারা, তাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ ছিলেন নজির আহমদ চৌধুরী। সবারই প্রাক অনুমান ছিল খাঁ সাহেবের জায়গায় সম্পাদক হিসেবে তিনিই অধিষ্ঠিত হবেন। এমনকি আবুল কালাম শামসুদ্দীনেরও প্রত্যাশা ছিল তেমনটাই। কিন্তু তিনি সম্পাদক হিসেবে চাইলেন আবুল কালাম শামসুদ্দীনকে, বড় ছেলেকে মধুপুর থেকে নির্দেশনা দিলেন উনাকে সম্পাদক করে পত্রিকার নতুন ডিক্লারেশন নিতে। খাঁ সাহেবের সেদিনের সেই সিদ্ধান্ত যে কতোটা দূরদর্শী ও বাস্তবোচিত ছিল ১৯৪০ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত সার্থক এক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে তিনি প্রমাণ করেছেন।

আবুল কালাম শামসুদ্দীন জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৭ সালের ৩ নভেম্বর। ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানীখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করলেও যৌবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছেন কলকাতায়। গ্রাম ছেড়েছেন মাধ্যমিকের পাট চুকিয়ে। তারপর উচ্চ মাধ্যমিক ঢাকায় শেষ করে পাড়ি জমান যৌবনের শহরে। তিনি যখন রাখলেন পা, তখন কলকাতা ফুঁসছে ফিলাফত ও অসহযোগ আন্দোলনের বাস্তবতায়। এ ঘটনায় গভীরভাবে প্রভাবিত হলেন। সক্রিয় হলে যুক্ততা জারি রেখে। তারও আগে ঘটে গেছে জালিয়ানওয়ালাবাগের গণহত্যা। ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিলের বর্বরোচিত হত্যার প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশের দেয়া নাইটহুড পদবি প্রত্যাখ্যান করেন। ওই গণহত্যা ভারতের জাতীয়তাবাদকে আরও প্রকাশ্য এবং কঠোর করে তুললো। ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মোহনদাস করমজচাঁদ গান্ধী লিখলেন, এই ঘটনায় আমরা ডায়ারের শাস্তি চাই না, যে ব্যবস্থা ডায়ারের মত মানুষ তৈরি করে আমরা তার পরিবর্তন চাই।

আবুল কালাম শামুসুদ্দীনের মন ও মননে এই ঘটনা গভীর ছাপ তৈরি করে। তারুণ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে দেশ ও জাতির সংকটে কী হবে তার ভূমিকা নিয়ে। যুক্ত হলেন সাংবাদিকতার সঙ্গে। মাসিক মোহাম্মদী দিয়ে শুরু। এরপর সাপ্তাহিক মোসলেম জগৎ, দি মুসলমান, দৈনিক সোলতানসহ আরও কয়েকটি পত্রিকায় ঋদ্ধ হয়েছে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা। ১৯৪০ এ হন 'আজাদ' এর সম্পাদক এবং ১৯৬২ সালে দুই দশকেরও বেশি সময় পাড়ি দিয়ে ছেড়ে দেন এই দায়িত্ব। ১৯৬৪ সালে হন প্রেস ট্রাস্ট অব পাকিস্তান পরিচালিত বাংলা পত্রিকা দৈনিক পাকিস্তানের সম্পাদক, ১৯৭২ সালে যান অবসরে।

আবুল কালাম শামসুদ্দীন পাঁচ দশকের সাংবাদিকতা জীবনে তিন দশকেরও বেশি সময় সম্পাদকীয়তার দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু লম্বা সময়ের বিচারে নন, তিনি এমন একটা সময় জুড়ে এই দায়িত্ব পালন করেছেন যা নানানভাবে সংকটাপন্ন ও প্রতি মুহূর্তের চ্যালেঞ্জে ভরা উদ্বিগ্নের ক্ষণ। এই সংকট-চ্যালেঞ্জ ও উদ্বিগ্নতা যে কোন সম্পাদকের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। সোনা পুড়ে যেমন খাঁটি হয়। ঠিক তেমনি কঠিন সময় পাড়ি দিয়েই সম্পাদককে প্রমাণ করতে হয় যোগ্যতা ও সাধনায় তিনি অনন্য, স্বাতন্ত্রিক ও বিরলপ্রজদের একজন। বিচক্ষণতায় উনিশ বিশ হলেই তিনি শুধু সমালোচনার শিকারই হন না খল নায়ক হিসেবে আবির্ভূত হন। আবুল কালাম শামসুদ্দীন ইতিহাসের এসব সন্ধিক্ষণ, জটিল ও কুটিল মুহূর্তকে মোকাবেলা করেছেন সাংবাদিকতা-সম্পাদকীয়তার প্রতিভা গুণে। তিন দশকের সম্পাদকীয়তায় তিনি বিরল সব ঘটনার মধ্য দিয়ে গেছেন, যা এক শতাব্দী তো দূরের বাদ্যি কয়েকশতাব্দীতেও ঘটে না। যে কোনো জাতির জীবনে একবারই ঘটে। এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের নায়ক-মহানায়কের সেই সব ঘটনার ভেতার দিয়ে নিজেদের ব্যক্তি ও কর্মজীবনের অভিজ্ঞতাকে সম্পৃক্ত করে হয়ে ওঠেন ঘটনাসমূহের প্রধান কিংবা পার্শ্বচরিত্র।

ভারত উপমহাদেশের বিভক্তি, পাকিস্তানের অভ্যুদয়, দেশভাগ, পাকিস্তান রাষ্ট্রে বাঙালির সংগ্রাম, ভাষা আন্দোলন,  স্বাধিকার আন্দোলন, গণ অভ্যুত্থান, ৭১'র মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রাম, বাঙ্গালীর বিজয় এসব ঘটনার মধ্যে দিয়ে যখন দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন হাওয়ার পাল উঠেছে এবং বদলে গেছে তার ভূগোল ও ভগবান তখন আবুল কালাম শামসুদ্দীন সম্পাদক হিসেবে পালন করেছেন অনন্য এক ভূমিকা, বাঙালি মুসলিমের সাংবাদিকার উন্মেষ পর্বের ইতিহাসে যোগ করেছেন গর্ব ও গৌরবের মহিমা ও মর্যাদা। তিনি যে সবসময়ই ইতিহাসের গতিপ্রকৃতি বুঝতে পারঙ্গমতার পরিচয় দিয়েছেন ঠিক এমনটা নয়। মানুষ মাত্রই যেমন ভুলের ঊর্ধ্বে নন। সীমাবদ্ধতা যাপিত জীবন ও কর্ম প্রবাহেরই অংশ ও অনিবার্য সঙ্গী বিশেষ। আবুল কালাম শামসুদ্দীনের ক্ষেত্রেও আমরা এই সত্যের প্রবল উপস্থিতি দেখতে পায়।

আমরা জানি, তিনি ব্যক্তি জীবনে এবং সম্পাদক হিসেবেও পাকিস্তানের অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। এসবের ন্যায্যতার প্রশ্নেও ছিলেন আপসহীন এবং প্রতিবাদী ভূমিকায়। যদিও তিনি আস্থা রেখেছিলেন পাকিস্তানের অখণ্ডতায়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিতে ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে তিনি কেবল বিক্ষুব্ধ হননি, আক্ষরিক অর্থেই মর্মাহত ও প্রতিবাদী হয়েছিলেন। যার অংশ হিসেবে পাকিস্তানের আইন পরিষদের সদস্যপদ ও মুসলিম লীগ সংসদীয় পার্টি ত্যাগ করেন। ঘটনার একদিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের হোস্টেল প্রাঙ্গণে প্রথমবারের মতো যে শহীদ মিনার নির্মিত হয় তিনি তার উদ্বোধন করেন।

১৯৪০ থেকে ১৯৪৭ সালের ঘটনাপ্রবাহে তিনি কেবল সাংবাদিক-সম্পাদক রূপেই ভূমিকা পালন করেননি, রাজনীতি ও সমাজ সংলগ্ন কাজেও প্রত্যক্ষরূপে যুক্ত থেকেছেন। ১৯৪২ সালে পূর্ব পাকিস্তান রেনেসাঁ সোসাইটি হলে গঠিত হলে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন এবং পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৪৬ সালে ময়মনসিংহ থেকে কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ সালে পূর্ববঙ্গ সরকারের ভাষা-কমিটির সদস্য হন। এসবই প্রমাণ করে তিনি নানানভাবেই সমাজ-রাষ্ট্রে নিজের সক্রিয় অবদান রাখতে সচেষ্ট থেকেছেন।

বাঙালি মুসলমানের সাংবাদিকতার ইতিহাসের প্রথম পর্বে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের অনেকেই আবুল কালাম শামসুদ্দীনের সরাসরি কিংবা পরোক্ষ প্রযত্ন পেয়েছেন। কল্যাণধর্মিতায় তিনি ছিলেন উদাহরণ জাগানিয়া উৎসর্গীকৃত প্রাণ। এক্ষণে স্মরণ করা যেতে পারে আবুল মনসুর আহমদ, মোহাম্মদ মোদাব্বের, খায়রুল কবির প্রমুখের কথা। সাংবাদিক আবুল মনসুর আহমদের যাত্রা শুরু হয়েছিল উনারই অভিভাবকত্বে। বয়সে কিঞ্চিৎ জ্যেষ্ঠ সম্পর্ক ছিল গভীর বন্ধুত্বের। দুই বন্ধু প্রতিদ্বন্দ্বিরূপে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মুখোমুখি হয়েছিলেন। আবুল মনসুর আহমদ এ যাত্রায় জিতে যান।

আবুল কালাম শামসুদ্দীন ২১ শে ফেব্রুয়ারির ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে প্রভূত ভূমিকা পালন করলেও যুক্ত ফ্রন্টের প্রার্থী হননি, মুসলিম লীগের রাজনীতিও পরিত্যাগ করেননি। উপরন্তু মুসলিম লীগ থেকে অংশগ্রহণ করে ৫৪ এর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন। যুক্তফ্রন্ট বিজয়ী হওয়ার পর তাদেরকে অভিনন্দিত করে ভবিষ্যতের কর্ম পরিকল্পনায় কী কী যুক্ত করা যেতে পারে সেসব নির্দেশনা দিয়ে 'আজাদ' এ সম্পাদকীয়ও লেখেন। তিনি যতদিন 'আজাদ' এর সম্পাদক ছিলেন ততদিন নিজের রাজনীতির সঙ্গে 'আজাদ' এর সংবাদপত্রের ভূমিকাকে গুলিয়ে ফেলেননি।

এমনকি সম্পাদকীয়তা জীবনের শেষ একদশক সরকার নিয়ন্ত্রিয় ট্রাস্টের পত্রিকায়ও জনবান্ধব ভূমিকাকে ম্লান হতে দেননি। এ নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও আমাদের মনে রাখতে হবে যে, সেই সময় এই পত্রিকার সঙ্গে যারা যুক্ত হয়েছিলেন তাদের বেশীরভাগই ছিলেন প্রগতিশীল আদর্শে বিশ্বাসী। আবুল কালাম শামসুদ্দীন পাকিস্তান সরকার কর্তৃক  সিতারা-ই-খিদমত এবং সিতারা-ই-ইমতিয়াজ উপাধিকে ভূষিত হন। এ ধরণের পদক পূর্ব পাকিস্তানের লেখক কবি সাহিত্যিক সাংবাদিকদের প্রায় সকলেই গ্রহণ করেছিলেন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের সময় তিনি পাকিস্তান সরকারের দমননীতির প্রতিবাদ ওই পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন। অথচ তখন কিন্তু তিনি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন পত্রিকার সম্পাদক। ওরকম পদে থেকে এরকম প্রতিবাদের নজির একেবারেই অপ্রতুল।

আবুল কালাম শামসুদ্দীন লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অনুবাদকর্মে পারদর্শী ছিলেন। তার এসব সৃজন ও মনন কর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল : 'পোড়োজমি বা অনাবাদী জমি', 'ত্রিস্রোতা', 'খরতরঙ্গ', 'দৃষ্টিকোণ', 'নতুন চীন নতুন দেশ', 'ইলিয়ড', 'অতীত দিনের স্মৃতি' প্রভৃতি।

আবুল কালাম শামসুদ্দীনকে খণ্ডিত বা বিশেষ কোনো ঘটনা দ্বারা মূল্যায়ন করা হলে সেটা হবে সেসবের লক্ষণ দ্বারা আক্রান্ত সিদ্ধান্ত। উনার পূর্ণাঙ্গ জীবন ও কর্মের আলোকে এবং সামগ্রিক অবদানের নিমিত্তে উনাকে যুঝে নেয়া জরুরি। দীর্ঘ জীবন পেয়েছিলেন, তিনি মারা যান ১৯৭৮ সালের ৪ মার্চ। এক জীবনের পুরোটা সময় মানুষের কল্যাণে দেশ ও জাতির অগ্রগমনে পালন করেছন প্রভূত ভূমিকা। যার প্রকৃষ্ট ছাপ রয়েছে বহুরৈখিকতায়। বিশেষ করে ১৯৪০ থেকে ১৯৬২ সময় পর্বের আজাদ এর সম্পাদকীয়গুলোর দিকে যদি আমরা নজর দিই তাহলে আমরা বাঙালি মুসলমানের বিকাশ, জাতি হয়ে ওঠা, দেশ-গড়ন, সমাজের বিনির্মাণ, রাষ্ট্রের চারিত্র্যকাঠামো, মাতৃভাষার অধিকারের প্রশ্ন এবং সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সত্ত্বা নির্মাণে তিনি পালন করেছেন তুলনারহিত ভূমিকা। যা তিনি শুধু এই সময় পর্বে নয় একজীবন ধরে সাধনা করে গেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

NBR suspends Abdul Monem Group's import, export

It also instructs banks to freeze the Group's bank accounts

3h ago