মহিউদ্দিন আহমেদ: প্রকাশনা শিল্পের বাতিঘর

দেশে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ক্রম বর্ধিষ্ণু, ঝাঁকের কৈ-এর মতো বাড়ছে এর সংখ্যা। উচ্চশিক্ষায়, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে শিক্ষার্থীরা পাঠ নিচ্ছেন এ বিষয়ে। এসবই আশাবাদের জায়গা। সেই আশাবাদকে আরও বৃহত্তর জায়গায় নিতে হলে আমাদের স্মরণে রাখতে একজন মহিউদ্দিন আহমেদকে, বাংলাদেশের জ্ঞানকাণ্ডকে, যিনি এ দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক মানের একটা প্রতিষ্ঠান করে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন।
মহিউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

দেশপ্রেম, সাধনা, নিষ্ঠা আর পেশাদারিত্ব কাকে বলে তা কথায় নয়, কাজে বাস্তবায়ন করে গেছেন মহিউদ্দিন আহমেদ। আজ উনার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলাদেশকে বইয়ের চোখে দেখার কাজটি করার নেপথ্য কারিগর-ইউপিএল প্রতিষ্ঠাতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।

আন্তর্জাতিক একটা মন ছিল উনার। সেই মনকে তিনি প্রোথিত করে গেছে প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। যার সাক্ষ্য দেয় ইউপিএল প্রকাশিত প্রতিটি বই। যে বই দেশে ও দেশের বাইরে বাংলাদেশকে চেনার সমৃদ্ধ এক আয়না। যার সঙ্গে মিশে রয়েছে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য-নৃতত্ব-সমাজ-রাষ্ট্র-স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ-উন্নয়ন-গণতন্ত্র ও সাংস্কৃতিক চেতনার আধার ও আধেয়।

দেশে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ক্রম বর্ধিষ্ণু, ঝাঁকের কৈ-এর মতো বাড়ছে এর সংখ্যা। উচ্চশিক্ষায়, বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে শিক্ষার্থীরা পাঠ নিচ্ছেন এ বিষয়ে। এসবই আশাবাদের জায়গা। সেই আশাবাদকে আরও বৃহত্তর জায়গায় নিতে হলে আমাদের স্মরণে রাখতে একজন মহিউদ্দিন আহমেদকে, বাংলাদেশের জ্ঞানকাণ্ডকে, যিনি এ দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক মানের একটা প্রতিষ্ঠান করে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়েছেন।

প্রতিষ্ঠান ভাবনার ঊষর এই জল হাওয়ায় কীভাবে সেটা সম্ভব হলো তার পাঠ ঝাঁকের কৈ মিলবে না, বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ার টেবিলে তো নয়ই। কেননা, সাধনা-নিষ্ঠা-পেশাদারিত্ব-দেশপ্রেম কোনো বিকিকিনিতে মেলে না, তা অর্জন করতে হয়। যেমনটা করেছিলেন একজন মহিউদ্দিন আহমদ। শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এবং রাষ্ট্রীয় কোনো আনুকূল্য ব্যতীতই তিনি ইউপিএলকে দাঁড় করিয়েছেন আন্তর্জাতিক মানের একটা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান রূপে। বইয়ের প্রকাশনায়, পরিবেশনায়, রপ্তানিতে, সহপরিবেশক রূপে তিনি দেশে-বিদেশে ছিলেন সবার কাছে ছিলেন এ দেশের প্রকাশনা শিল্পের পুরোধা পুরুষ।

আন্তর্জাতিক মানের একটা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান করেই তিনি দায়িত্ব ও কর্তব্য শেষ করেননি, তার মান ধরে রেখেছেন এবং নিজের সঙ্গে নিজে লড়াই করে প্রতিনিয়ত জয়ী হয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার ভালোবাসার প্রকাশ ও সাক্ষ্য মেলে প্রতিটি কাজে। প্রকাশনা একটা বিশাল কর্মযজ্ঞের ব্যাপার। এখানে অনেকগুলো ধাপ পাড়ি দিতে হয় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে, যার কোথাও উনিশ-বিশ হলেই তার খেসারত কেবল দিতে হয় না, প্রতিষ্ঠানের অর্জিত মানেও ফাটল ধরে-প্রশ্ন তৈরি হয়। মহিউদ্দিন আহমেদ এ সবে কতটা যত্নবান, সতর্ক ও দায়িত্বশীল ছিলেন তার আওয়াজ দেওয়ার প্রয়োজন নেই, ইউপিএল প্রকাশিত প্রতিটি বই-ই তার অনুপম সাক্ষ্য।

এ ক্ষেত্রে আমরা ইউপিএল থেকে প্রকাশিত বইয়ের মূল্যের দিকে নজর দিতে পারি। বইয়ের মূল্য কতোটা ন্যায্যতার সঙ্গে রাখা যায়, প্রশংসাযোগ্য চর্চা ধরে রেখেছে এই প্রতিষ্ঠান। যা নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ কম, কিংবা নেই বলাই যৌক্তিক ও যথার্থ। প্রতিটি বইয়ের যে মূল্য নির্ধারণ করা হয় সেখানে যে ন্যায্যতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয় তা পরিস্কারভাবে বোঝা যায় না। সৃজন ও মননশীল সকল বইয়ের ক্ষেত্রেই এ কথা সমভাবে প্রযোজ্য। এমনকি অনূদিত বইয়ের ক্ষেত্রেও।

পাঠক বা বইয়ের ক্রেতাকে ইউপিএল সর্বদা 'অপর' নয় 'আপন' করে ভেবেছে এবং এটাকেই তাদের ব্যবসার ব্রত হিসেবে বিবেচনায় রেখেছে অতীতে-আজও। 'অপর' এর ওপর অনেক কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায়। যৌক্তিকতার বালাই সেখানে থাকে না। থাকলেও যুক্তিকে গুরুত্ব দিয়ে বিচার করা হয় না। কিন্তু 'আপন' এর ওপর নয়। 'আপন'কে সঙ্গে করে নিয়ে চলতে হয় এবং এই চলার মধ্যে সকলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হয়। যে বা যিনি এভাবে চলতে পারেন তিনি কেবল কামিয়াব হন না, প্রকারান্তরে দেশ ও জনগণের মঙ্গল ও কল্যাণ নিশ্চিত করেন। যেমনটা করেছেন মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইউপিএল।

ইউপিএল প্রকাশিত বইয়ের বাঁধাইয়ের দিকে যদি আমরা লক্ষ্য করি, তাহলে দেখব এ ক্ষেত্রেও তারা কতোটা আন্তরিক ও পেশদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। যেকোনো বই তো কেবল দিন মাস বা বছরের সম্পর্কে আবদ্ধ নয়। যেকোনো পাঠক-গবেষকের কাছে বই তার অনেক ভালবাসার বস্তু। এক অর্থে বই সম্পত্তি নয়, সম্পদ বিশেষ। এই সম্পদ তখনই টেকসই হয় এবং ভালোলাগার সঙ্গী হয়ে ওঠে যখন তার বাঁধাইটা ভালো হয়, দশ-বিশ-ত্রিশ বছর কিংবা তারও অধিক সময় পরও বইটা ব্যবহারযোগ্য থাকে। ধরলেই তার পৃষ্ঠাগুলো খুলে যায় না, টুকরোও হয় না। ফলে, বাঁধাইয়ের ব্যাপারে কোনো প্রকার হেলাফেলা বা অযত্নের ছাপ পেশাদারিত্বের পরিচয় বহন করে না। আবার বাঁধাইটা এমন হতে হবে যেন বইটা পড়তে কোনপ্রকার বেগ পেতে না হয়। এসব ক্ষেত্রে সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গি ও মনোযোগ থাকাটা জরুরি।

বাঁধাইয়ের প্রসঙ্গ ধরে বলতে হয় কাগজের কথাও। কিছু কাগজ রয়েছে যা সময়ের সঙ্গে খুব দ্রুত অমসৃণ, খসখসে এবং স্পর্শ বা ধরার অনুপযোগী হয়ে ওঠে। এসব কাগজ যে বইয়ের জন্য উপযোগী নয় তা তাৎক্ষণিকভাবে বোঝা না গেলেও কিছুদিন পর ঠিকই বোঝা যায়। আবার কালির ব্যবহারও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কালির স্থায়িত্ব স্বল্পসময়ের। বইয়ের বয়স যত বাড়তে থাকে লেখা পড়া তত দুরূহ হয়ে ওঠে, একসময় ঝাপসাও হয়ে যায় এবং বইটা পাঠযোগ্যতা হারায়।

এসবের সঙ্গে বইয়ের কাভারও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কাভার কোন কাগজের হবে, কতটুকু মোটা হবে, কতোটা ওজনের হবে সেটার প্রতি খেয়াল রাখা জরুরি। কাভারের কারণে বই যদি বেশি ভারী হয়ে ওঠে এবং পড়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, সেটা কোনভাবেই গ্রহণীয় নয়।

আমরা আনন্দের সঙ্গে বলতে পারি, বইয়ের এসব খুঁটিনাটি সকল বিষয়ে গভীর দৃষ্টি রাখার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন মহিউদ্দিন আহমেদ। বই প্রকাশ, বই নির্মাণ, বই তৈরি, বই জন্ম দেওয়া যে গভীর-গভীরতর এক শিল্প তা ইউপিএল-এর প্রতিটি বই প্রায় অর্ধ শতাব্দ ধরে রাষ্ট্র করে চলেছে। যার নেপথ্যের কুশলী ছিলেন মহিউদ্দিন আহমেদ।

সাধারণ অর্থে কিংবা উপরিতলের ভাবনায় যে কারো মনে হতে পারে লেখক-কবি বই লিখবেন, শিল্পী প্রচ্ছদ আঁকবেন-প্রয়োজন হলে অলংকরণও করবেন, সম্পাদনার মানুষেরা ভুল-ভ্রান্তি, বানান বিভ্রাট দেখবেন, প্রেসের লোকেরা কাগজ কালি বাঁধাই ছাপার দিকটা সামলাবেন। ব্যস, দিন কয়েকের ব্যবধানে হয়ে গেল বই। এইতো বই প্রকাশনার আদ্যোপান্ত। ব্যাপারটা তেমন নয় মোটেই। এসবের সমন্বয়ে বইটা তখনই শিল্প হয়ে ওঠে যখন একজন প্রকৃত প্রকাশক ভালবেসে, পেশাদারিত্বে এই কাজের সবকিছুতে নিজেকে যুক্ত রাখেন এবং সেই কাজটা করার জন্য সাধনায় নিমগ্ন থাকেন। সেই সাধনার বরপুত্র হয়ে উঠতে পেরেছিলেন মহিউদ্দিন আহমেদ। এ কারণেই তিনি 'ইমেরিটাস পাবলিশার'র এর শ্রদ্ধা ও সম্মাননা পেয়েছেন।

নিজেদের সংগঠনের তরফে পাওয়া এই স্বীকৃতি প্রকারান্তরে এটাই স্পষ্ট করে যে, প্রকাশনা জগতে তিনি সদর্থক অর্থেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় এক মহীরুহ হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান নির্মাণের যুদ্ধে ব্যাপৃত থেকে তিনি নিজেই হয়ে উঠেছিলেন একজন কিংবদন্তী, প্রতিষ্ঠানতুল্য এক বাতিঘর।

আমরা যদি বাংলাদেশকে বুঝতে চাই, এ দেশের পঞ্চাশ বছরের পরিভ্রমণকে দেখতে চাই, তা হলে আমাদের কাছে একটাই পথ খোলা রয়েছে মহিউদ্দিন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড-ইউপিএল এর বইয়ের জগতে শরণ নেওয়া। ইউপিএলের বই ব্যতীত এ কাজ দুরূহ।

একই সঙ্গে এ দেশটার সমাজ কাঠামো, নৃতত্ব, রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ইতিহাস, উন্নয়ন চিত্র, শিক্ষার গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে পাঠ করতে চাই, তার জন্যও আমাদেরকে ইউপিএলের বইয়ের ভুবনে নোঙ্গর করতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের শত্রুমিত্র, মুক্তিযুদ্ধকালীন ঘটনাপ্রবাহের নানামাত্রা জানার কাজটাও গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে প্রকাশ করেছে-করছে ইউপিএল। একটা প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে একজন ব্যক্তি একটা দেশকে দেশে ও দেশের বাইরে কীভাবে ও কত প্রকারে উপস্থাপন করতে পারেন তার অনন্য এক নজির হল মহিউদ্দিন আহমেদ ও ইউপিএল।

তরুণ মহিউদ্দিন আহমেদের কাছে বর্ণাঢ্য-বিলাসী ও অর্থকামী নানা পেশায় যুক্ত হওয়ার অপার সুযোগ ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকতায় যুক্তও হয়েছিলেন কিছুদিনের তরে। চাকরির সুবাদে বিদেশ বাস, বৈদেশী হওয়ার সুযোগ, বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে যুক্ততার প্রলোভন সব পথই খোলা ছিল মহিউদ্দিন আহমেদ এর কাছে। কিন্তু এসবের কোনোটাকেই শ্রেয়জ্ঞান করেননি তিনি। সব ছেড়ে ছুড়ে ১৯৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত করেন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, সংক্ষেপে ইউপিএল।

তারপর সময় যত গড়িয়েছে বই প্রকাশনার মধ্যে দিয়ে ইতিহাস নির্মাণ করেছেন। যে ইতিহাস বাংলাদেশকে চেনা জানার জন্য অভিধানবিশেষ। ইউপিএল ছাপান্নো হাজার বর্গমাইলের এ দেশটাতে এক বিস্ময়ের নাম। বাংলাদেশের জ্ঞানকাণ্ড তৈরির বৃহৎ এক আমব্রেলা। ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, নামটা শুনলে-পাঠ করলেই মনে হয় অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, হার্ভাডসহ একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এবং তাদের প্রযত্নে থাকা একই নামের প্রেসগুলোর কথা। সেসব বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান উৎপাদন, জ্ঞানানুশীলনের পাশাপাশি জ্ঞানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌহদ্দির বাইরের দুনিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এবং জ্ঞান সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তাকেও যথাযথ গুরুত্ব ও মান্যতা দিয়েছে। ইউপিএলও বুঝি ওরকম কোনো প্রতিষ্ঠান। আদতে ইউপিএল মোটেই সেরকম প্রতিষ্ঠান নয়, যদিও সে সেরকম প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করে চলেছে নিষ্ঠার সঙ্গে প্রায় অর্ধশতাব্দ ধরে।

যে কাজ করার কথা ছিল রাষ্ট্রের, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর, দেশের একাডেমি ও ইনস্টিটিউটগুলোর। সেই কাজ করেছে ইউপিএল নামের একটা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান ও একজন ব্যক্তি। আমরা মনে করি, এটা সম্ভব হয়েছে মহিউদ্দিন আহমেদের দেশপ্রেমের কারণে। তিনি কাজকে ভালোবেসে পেশাদারিত্বের চূড়ান্ত পরাকাষ্ঠা দিয়ে দেশপ্রেমের একটা মডেল স্থাপন করে গেছেন। বেদনার হলো, যে মানুষটার সাধনায় অসাধ্য সাধন হয়েছে জীবদ্দশায় কিংবা মৃত্যুর পরও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উনাকে যথার্থ মূল্যায়ন করা হয়নি।

জ্ঞানভিত্তিক সমাজ-রাষ্ট্র-দেশ যদি আমরা সদর্থক অর্থেই গড়ে তুলতে চাই তা হলে উনাদের প্রাপ্য সম্মান প্রদর্শনে কুণ্ঠা থাকা সমীচীন নয়। প্রতি বছর বিবিধ ক্ষেত্রে নানাজনকে একুশে পদক, স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। কিন্তু উনারমতো একজন 'ইমেরিটাস পাবলিশার' আজও রাষ্ট্রীয় এ সম্মান পাননি। অথচ রাষ্ট্রকে বোঝার জন্য, স্বাধীন বাংলাদেশের অগ্রগমন, তার প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, সংকট-সম্ভাবনাকে জানতে ও বুঝতে মহিউদ্দিন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড খোলা জানালা বিশেষ।

Comments

The Daily Star  | English

Will anyone take responsibility for traffic deaths?

The Eid festivities in April marked a grim milestone with a record number of road traffic accidents and casualties.

7h ago