চীনের প্রায় ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত

চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনে প্রায় ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
চীনের করোনা
বেইজিং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে এয়ার চায়না এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের কাছে সুরক্ষাক্ষামূলক পোশাক পরে একজন কর্মী হাঁটছেন। ছবি: রয়টার্স

চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত চীনে প্রায় ৯০ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে।

আজ শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির গবেষণা তালিকার শীর্ষে আছে গানসু প্রদেশ। সেখানে ৯১ শতাংশ সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এরপর ইউনানে ৮৪ শতাংশ এবং কিংঘাইতে ৮০ শতাংশ।

চীনা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের প্রাক্তন প্রধান জেং গুয়াং বলেছেন, নতুন বছরে চীনের গ্রামীণ অঞ্চলে সংক্রমণ বাড়তে পারে। করোনার এই ঢেউ ২-৩ মাস স্থায়ী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আগামী ২৩ জানুয়ারি লুনার নিউইয়ারকে সামনে রেখে লাখ লাখ মানুষ চীনে ঢুকতে শুরু করেছেন।

চীন শূন্য করোনা নীতি থেকে সরে আসার পর করোনার দৈনিক পরিসংখ্যান প্রকাশ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে, বড় বড় শহরের হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর ভিড়ে অনেকে বেড়েছে। কারণ, ভাইরাসটি পুরো চীনে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ মাসের শুরুর দিকে এক অনুষ্ঠানে জেং বলেন, 'গ্রামাঞ্চলের দিকে মনোনিবেশ করার সময় এসেছে। গ্রামাঞ্চলে বয়স্ক, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা করোনার চিকিৎসার ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়ছেন।'

বিবিসি বলছে, চীনের কেন্দ্রীয় হেনান প্রদেশই একমাত্র প্রদেশ যেখানের সংক্রমণ হার নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে এ মাসের শুরুতে সেখানকার একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেছিলেন, মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত। প্রদেশটির শহর ও গ্রামাঞ্চলে একই হার দেখা গেছে।

চীনের সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক প্রদেশ ও শহরে সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। চীনে লুনার নিউইয়ারের ছুটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়। এসময় প্রায় দুই বিলিয়ন মানুষ চীন ভ্রমণ করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ১ মাসে চীনে প্রতিদিন ৫ বা তারও কম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও) বলেছে, চীন করোনায় মৃত্যুর খবর খুব কম দিচ্ছে।

এর জবাবে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বৃহস্পতিবার এক নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জোর দিয়ে বলেন, বেইজিং গত এক মাস ধরে ডাব্লিউএইচকে আইন অনুযায়ী সময়োপযোগী, উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ করোনার তথ্য আদান-প্রদান করছে।

আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা করোনায় এ বছর চীনে কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যুর পূর্বাভাস দিয়েছেন। যদিও, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে বেইজিং আনুষ্ঠানিকভাবে ৫ হাজারের বেশি মৃত্যুর খবর দিয়েছে। যা বিশ্বে করোনায় সর্বনিম্ন মৃত্যুহারের একটি।

Comments