নয়াদিল্লিতে বৃষ্টিপাতের নতুন রেকর্ড, উত্তর প্রদেশে বন্যায় মৃত ২২

ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন অংশে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে, যার ফলে ইতোমধ্যে ২২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃতদের বেশিরভাগই হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা।
ভারতে ভারী বৃষ্টিপাতে উত্তরাঞ্চলে প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে এবং দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৃষ্টিপাতের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিকী ছবি: স্টেটসম্যান
ভারতে ভারী বৃষ্টিপাতে উত্তরাঞ্চলে প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে এবং দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৃষ্টিপাতের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিকী ছবি: স্টেটসম্যান

ভারতে ভারী বৃষ্টিপাতে উত্তরাঞ্চলে প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে এবং দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৃষ্টিপাতের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।

আজ সোমবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই তথ্য জানিয়েছে।

ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন অংশে বন্যা ও ভূমিধস দেখা দিয়েছে, যার ফলে ইতোমধ্যে ২২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃতদের বেশিরভাগই হিমাচল প্রদেশের বাসিন্দা।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, রোববার নয়াদিল্লিতে ১৫৩ মিলিমিটার (৬ ইঞ্চি) বৃষ্টি হয়েছে। শুধু জুলাই মাসের হিসেবে এটি ১৯৮২ সালের পর সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের নতুন রেকর্ড। দিনটিকে 'জুলাই'র আদ্রতম দিন' হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।

রোববার আবহাওয়া বিভাগ উত্তরের অঙ্গরাজ্য হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় সর্বোচ্চ সতর্কতাসূচক রেড এলার্ট জারি করে। উত্তরাখণ্ড ও হিমাচল প্রদেশে ভূমিধসের সতর্কতাও চালু করা হয়।

হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু আজ সোমবার বাসিন্দাদের ২৪ ঘণ্টার জন্য ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

পাঞ্জাবে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। ছবি: স্টেটসম্যান
পাঞ্জাবে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। ছবি: স্টেটসম্যান

সিএনএনকে তিনি বলেন, 'আমি সবাইকে নিরাপদে ও নিজ নিজ বাসায় থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি। যাতায়াত ব্যবস্থা কার্যকর না থাকায় স্কুল ও কলেজও বন্ধ রাখা হয়েছে।'

আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাষে বলা হয়েছে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে আজ সোমবার থেকে 'বিচ্ছিন্ন ভাবে ভারী থেকে প্রবল বৃষ্টিপাত হতে পারে'। আবহাওয়া বিভাগ রোববার এই পূর্বাভাষ দেয়।

উত্তর প্রদেশ ও নয়াদিল্লিসহ বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টির কারণে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ভারতে এখন বর্ষা মৌসুম চলছে, যেটি সাধারণত এপ্রিলে শুরু হয়ে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।

গত মাসে ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয় দেশটির পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানলে বড় বড় সড়ক ও অনেক গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়। এই ভয়াবহ বন্যায় প্রায় ৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়।

ভারতে গ্রীষ্মকালেও চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া দেখা গেছে। প্রখর তাপদাহে ভুগেছেন অসংখ্য মানুষ।

এসব ঘটনায় বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটির জলবায়ু সংকটের বিপরীতে ভঙ্গুর পরিস্থিতি প্রমাণিত হচ্ছে। 

Comments