ভারতে কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ রোডমার্চ স্থগিত, রোববার সরকার-কৃষক ইউনিয়নের বৈঠক

কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা জগজিৎ সিং দালেওয়াল জানান, আপাতত কৃষকরা তাদের রোডমার্চ বন্ধ রাখবে। 
'দিল্লি চলো' বিক্ষোভে যোগ দিতে এসেছেন হাজারো কৃষক। ছবি: রয়টার্স
'দিল্লি চলো' বিক্ষোভে যোগ দিতে এসেছেন হাজারো কৃষক। ছবি: রয়টার্স

এ সপ্তাহের শুরুতে ভারতে ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) গ্যারান্টি দেওয়ার আইন, কৃষকদের জন্য পেনশন, শস্যবিমা এবং তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর বাতিলের দাবিতে হাজারো কৃষক দিল্লির দিকে রোডমার্চ করার কর্মসূচি হাতে নেন। তবে সরকারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখতে আপাতত এই রোডমার্চ স্থগিত করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

বৃহস্পতিবারের বৈঠকের পর আগামী রোববার সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে কৃষকদের ইউনিয়নের আরেক দফা বৈঠক হবে। এ কারণে এই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বৃহস্পতিবার কৃষকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে অর্জুন মুন্ডা জানান, 'ইতিবাচক' আলোচনা হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, 'আলোচনাকে সামনে এগিয়ে নিতে আমরা আবারও রোববার সন্ধ্যা ছয়টায় বসব। আমরা বিশ্বাস করি, সবাই মিলে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব।'

কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা জগজিৎ সিং দালেওয়াল জানান, আপাতত কৃষকরা তাদের রোডমার্চ বন্ধ রাখবে। 

দালেওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, 'মিটিং শুরুর পরও যদি আমরা যদি দিল্লির দিকে আগাতে থাকি, তাহলে কী ভাবে সে আলোচনা চলবে?'।

'তবে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ অব্যাহত থাকবে', যোগ করেন তিনি।

হাজারো কৃষক এ সপ্তাহের শুরুতে 'দিল্লি চলো' রোডমার্চ শুরু করে। রাজধানী থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে তাদেরকে বাধা দেওয়া হলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। কৃষকদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার অভিযোগ আসে।

'দিল্লি চলো' বিক্ষোভে যোগ দিতে এসেছেন হাজারো কৃষক। ছবি: রয়টার্স
'দিল্লি চলো' বিক্ষোভে যোগ দিতে এসেছেন হাজারো কৃষক। ছবি: রয়টার্স

রয়টার্স জানিয়েছে, আজ শুক্রবার কৃষকদের পাঞ্জাব ও হরিয়ানা অঙ্গরাজ্যের সীমান্তে তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।

কৃষকরা যাতে আর সামনে আগাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কংক্রিট ও ধাতুর তৈরি ব্যারিকেড তৈরি করেছেন এবং কাঁদানে গ্যাসের ক্যানিস্টার সহ ড্রোন মোতায়েন করেছেন।

দুই বছর আগে মোদি সরকার এ ধরনের অপর এক বিক্ষোভ কর্মসূচির মুখে কয়েকটি কৃষি আইন বাতিল করে ও কৃষকরা যাতে তাদের সব পণ্যের ন্যায্য মূল্য পান, তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেয়।

উল্লেখ্য, বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন ভারতের কৃষকরা।

Comments