মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে নিহত ১৬, নিখোঁজ অন্তত ১৭

সেলাংগরে ভূমিধসের ঘটনার পর উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ছবি: এপি
সেলাংগরে ভূমিধসের ঘটনার পর উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। ছবি: এপি

মালয়েশিয়ার সেলাংগর রাজ্যের একটি ক্যাম্পসাইটে ভূমিধসের ঘটনায় ঘুমন্ত অবস্থায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা রয়টার্স জানিয়েছে, আজ শুক্রবার ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

অনুসন্ধান ও উদ্ধার দলের কর্মীরা এখনও থকথকে কাদা ও ভূপাতিত গাছের নিচে চাপা পড়ে থাকা ১৭ জনেরও বেশি নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজছে।

রাজধানী কুয়ালালামপুরের কাছাকাছি সেলাংগরে স্থানীয় সময় ভোররাত ৩টার দিকে একটি ক্যাম্পিং সুবিধাসম্পন্ন অরগ্যানিক খামারের কাছাকাছি অবস্থিত পাহাড় থেকে ভূমিধসের উৎপত্তি হয়। রাজ্যের দমকল ও উদ্ধার বিভাগ এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতি মতে, ভূমিধসে প্রায় ৯০ জন মানুষ আক্রান্ত হন। ৫৯ জন নিরাপদ আছেন এবং আরও ২২ জন এখনও নিখোঁজ।

বিবৃতি মতে, ১২ নিহতের পাশাপাশি আরও ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জালিহা মুস্তাফা সংবাদ সম্মেলনে জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহতদের মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারী আছেন।

মন্ত্রী আরও জানান, সামান্য কাটা ছড়া থেকে পিঠের হাড়ে চিড় ধরা পর্যন্ত বিভিন্ন উপসর্গে ভুগছেন তারা।

জেলা পুলিশ প্রধান সুফফিয়ান আবদুল্লাহ জানান, মৃতরা সবাই মালয়েশিয়ার নাগরিক। নিহতদের মধ্যে একটি ৫ বছর বয়সী শিশুও রয়েছে।

তিনি আরও জানান, বিভিন্ন সংস্থার ৪০০ জনেরও বেশি কর্মী উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।

ক্যাম্পসাইটের প্রায় ৩০ মিটার (১০০ ফুট) উচ্চতা থেকে ভূমিধসের সূত্রপাত হয়। এটি প্রায় ১ একর জায়গার ওপর প্রভাব ফেলেছে বলে জানান সেলাংগর রাজ্যের দমকল ও উদ্ধার বিভাগের পরিচালক। 

এই দুর্ঘটনা কুয়ালালামপুর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার উত্তরে বাতাং কালি শহরে ঘটেছে। এটি গেনটিং হাইল্যান্ডস অবকাশ যাপন কেন্দ্রের খুবই কাছে অবস্থিত একটি শহর।

দুর্ঘটনাকবলিত ‘ফাদার্স অরগ্যানিক ফার্ম’ নামের খামারে তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। ছবি: প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

দুর্ঘটনাকবলিত 'ফাদার্স অরগ্যানিক ফার্ম' নামের খামারে তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পিং করার ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজে এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
AI-manipulated image of Shahbagh engineering students’ protest, DMP claims

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

3h ago