জাপানে বন্দুক-ছুরি হামলায় ২ পুলিশসহ নিহত ৪, সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার

নাগানো প্রদেশের নাকানো শহরের বন্দুক হামলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশের কর্মকর্তারা অবস্থান নেন। ছবি: রয়টার্স
নাগানো প্রদেশের নাকানো শহরের বন্দুক হামলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশের কর্মকর্তারা অবস্থান নেন। ছবি: রয়টার্স

জাপানের নাগানোতে বন্দুক ও ছুরি হামলায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৩১ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ প্রায় ১২ ঘণ্টার অভিযান চালায়।

নাগানো অঞ্চলের পুলিশ প্রধান ইয়াও কোইয়ামা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এক নারীকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের ২ পরিদর্শক ঘটনাস্থলে আসলে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি তাদের ওপর গুলি চালান। সে সময় ওই ব্যক্তি তার নিজের ঘরে ছিলেন।

পুলিশ প্রধান জানান, ওই ব্যক্তি শিকারের জন্য ব্যবহৃত হান্টিং রাইফেল ব্যবহার করেন।

জাপানের গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি নাকানো সিটি কাউন্সিল প্রধানের ছেলে।

কোইয়ামা আরও জানান, ২ পুলিশ ও নারীকে হাসপাতালে নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, 'এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধ, যা এ এলাকার বাসিন্দা ও সার্বিকভাবে, পুরো সম্প্রদায়ের মধ্যে বড় আকারের আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।'

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওপর এক ছুরিবিদ্ধ বয়স্ক নারীর মরদেহ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তার বাড়ির সামনে পড়ে ছিল।

গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করার আগে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করার জন্য আগাতে পারছিল না।

শুক্রবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে, প্রথম সংবাদ পাওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর পুলিশ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়। পুলিশ হত্যার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান কোইয়ামা।

জাপানে বন্দুক বেচা-কেনা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত, যার ফলে বন্দুক হামলার ঘটনা একেবারেই দুর্লভ। বন্দুক কেনার প্রক্রিয়া অনেক ধীর এবং বেশ কয়েক ধরনের যাচাই বাছাই শেষে এর অনুমতি দেওয়া হয়।

জাতীয় জননিরাপত্তা কমিশন এক পৃথক ব্রিফিংয়ে জানায়, সন্দেহভাজন ব্যক্তির শিকারের রাইফেল রাখার লাইসেন্স ছিল।

কোইয়ামা জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তির মা ও খালাও বাসায় ছিলেন। তারা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

সন্দেহভাজন ব্যক্তির এই হামলার কারণ ও অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য এখনো জানা যায়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English
How artistes flamed cultural defiance in July

How artistes flamed cultural defiance in July

From stage to street, artistes and activists led a cultural revolt against brutality and censorship

7h ago