শেহবাজ শরীফ আবারও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় পরিষদে ২০১ ভোট পেয়ে দেশের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হলেন শেহবাজ শরীফ। জাতীয় পরিষদের স্পিকার সর্দার আয়াজ সাদিক এই ঘোষণা দেন।
পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেহবাজ শরীফ। ছবি: এএফপি
পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শেহবাজ শরীফ। ছবি: এএফপি

পাকিস্তানের মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএলএম-এন) দলের মনোনীত প্রার্থী শেহবাজ শরীফ আজ দেশটির নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে ভোটের মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ রোববার এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন।

জাতীয় পরিষদে ২০১ ভোট পেয়ে দেশের ২৪তম প্রধানমন্ত্রী হলেন শেহবাজ শরীফ। জাতীয় পরিষদের স্পিকার সর্দার আয়াজ সাদিক এই ঘোষণা দেন।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইর প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান ৯২টি ভোট পান।

বৃহস্পতিবার অনেক জল্পনা কল্পনা ও শেষ মুহুর্তের জটিলতার পর নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর পাকিস্তানের ৬তম জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়। সেদিনই নির্ধারণ হয়, রোববারের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটের আয়োজন করা হবে। 

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ২১ দিনের মধ্যে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলকে (এসআইসি) সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় অধিবেশন ডাকতে অস্বীকৃতি জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।

শরীফ পরিবারের তিন নেতা মরিয়ম, নওয়াজ ও শেহবাজ। ছবি: রয়টার্স
শরীফ পরিবারের তিন নেতা মরিয়ম, নওয়াজ ও শেহবাজ। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করে। তারা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের সংরক্ষিত আসন পেতে সুন্নি ইত্তেহাদ দলে যোগ দেন। বুধবার রাতে একেবারে শেষ মুহূর্তে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হিসেবে বিবেচিত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এর আগে প্রেসিডেন্টকে পাশ কাটিয়ে ২৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডাকার বিষয়ে জাতীয় পরিষদ সচিবালয় থেকে বুধবার একটি নোটিশ দেওয়া হয়।

সেদিন রাতে প্রেসিডেন্ট আলভিও একই সময়ে অধিবেশন আহ্বান করেন। অধিবেশন ডাকতে অস্বীকার করায় প্রেসিডেন্ট আলভির সমালোচনা করেন জোট সরকারের দুই দল পিপিপি ও পিএমএল-এনের নেতারা। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনেরও অভিযোগ আনেন তাঁরা।

প্রেসিডেন্ট আলভি অধিবেশন না ডাকার বিষয়ে অনড় থাকলে জাতীয় পরিষদের স্পিকার অধিবেশন আহ্বান করেন। তবে প্রেসিডেন্টকে পাশ কাটিয়ে স্পিকার অধিবেশন ডাকতে পারেন কি না, তা নিয়ে আইনি বিতর্ক শুরু হয়। তবে পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট অধিবেশন আহ্বান করায় এই বিষয়টির সুরাহা হয়েছে।

অধিবেশনের শুরুর দিনের মতো আজও জাতীয় পরিষদ কক্ষের ভেতর সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিল ও পিটিআইর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা 'ইমরান খান জিন্দাবাদ' বলে শ্লোগান দেয়। 

Comments