ঢাকা পতনের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত: পিটিআই

নওয়াজ শরীফ-শেহবাজ শরীফের দল পিএলএম-এন (পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ) ও বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপলস পার্টি অব পাকিস্তান (পিপিপি) জোটবদ্ধ হয়ে পাকিস্তানে সরকার গঠনের কথা জানিয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই।

আজ বৃহস্পতিবার এসব তথ্য জানিয়েছে ডন।

পিটিআই বলেছে, জাতি 'জনগণের রায় চুরি করা সরকার' মেনে নেবে না।

দলটি অভিযোগ করেছে, পিএমএল-এন ও পিপিপি জনগণের রায় চুরি করেছে এবং জাতি 'পিডিএম ২.০' মেনে নেবে না।

২০২০ এর সেপ্টেম্বরে পাকিস্তান ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) নামে একটি জোট গঠন করে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এই জোটে বেশ কয়েকটি দল থাকলেও এতে মূল ভূমিকায় ছিল বর্তমান জোটের পিএলএম-এন ও পিপিপি। এই জোট সফলভাবে তৎকালীন সরকারকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে উৎখাত করতে সমর্থ হয়। পদ হারান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং পরবর্তীতে তাকে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়।

পিটিআই আরও অভিযোগ করেছে, 'দেশের ক্ষমতা পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রে' প্রধান নির্বাচন কমিশনার সমর্থন দিয়েছেন এবং এর মাধ্যমে সংবিধান ও দেশের আইন প্রহসনে পরিণত হয়েছে

দলের এক মুখপাত্র বলেন, এই গোষ্ঠীকে 'জাতি নাকচ করেছে', কিন্তু তারা আবারও একত্রিত হয়ে পিডিএম ২.০ এর 'নাটক' মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে।

মুখপাত্র দাবি করেন, ইমরান খান কারাবন্দী থাকা সত্ত্বেও জাতি পিটিআইর পক্ষে কেন্দ্র, পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়ায় সরকার গঠনের সুস্পষ্ট রায় দিয়েছে। এমন কী দলের নির্বাচনী প্রতীক 'ক্রিকেট ব্যাট' ছিনিয়ে নিয়ে ও আরও নানারকম বাধার সৃষ্টি করেও পিটিআইকে দমিয়ে রাখা যায়নি।

'এখন সময় এসেছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়ার এবং জনগণের রায়ের প্রতি সম্মান জানানোর। দিনের আলোয় ভোট কারচুপির কারণে ঢাকার পতন হয়েছিল, যা পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি মর্মান্তিক ঘটনা', যোগ করেন তিনি। 

তিনি অভিযোগ করেন, যারা 'পাকিস্তানকে বিভাজিত' করেছিল, তাদের উত্তরসূরিরা আবারও সক্রিয় হয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে জনগণের রায়কে পদদলিত করার চেষ্টা করছে।

তিনি পরিষ্কার করেন, পাকিস্তানের মানুষ তাদের ভোট চুরি এবং সংবিধান ও গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করার কোনো প্রচেষ্টা সহ্য করবে না। তিনি অঙ্গীকার করেন, পিটিআই জনগণের রায় চুরির সব প্রচেষ্টা বানচাল করবে।

অপরদিকে গতকাল বুধবার ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রায় সবাই আনুষ্ঠানিকভাবে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে যোগ দিয়েছেন (এসআইসি)। প্রাদেশিক ও জাতীয় নির্বাচনে জয়ীদের সবাই এ বিষয়ে এফিডেভিট জমা দিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, গতকাল বুধবার জাতীয় অ্যাসেম্বলির ৮৯ সদস্য, খাইবার পাখতুনখোয়া অ্যাসেম্বলির ৮৫, পাঞ্জাব অ্যাসেম্বলির ১০৬ ও সিন্ধু অ্যাসেম্বলির নয় সদস্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে এফিডেভিট জমা দিয়েছেন।

এফিডেভিট জমা দেওয়ার মাধ্যমে পিটিআইর জাতীয় অ্যাসেম্বলিতে ৯৩ আসন পাওয়ার দাবির সত্যতা প্রমাণ হয়েছে। তবে দলের তিন সদস্য এখনো এফিডেভিট জমা দেননি। তারা হলেন ওমর আইয়ুব খান, ব্যারিস্টার গওহর খান ও আলি আমিন গান্দাপুর। অপর এক সদস্যের জয় এখনো নির্বাচন কমিশন নিশ্চিত করেনি।

পিটিআইর দলীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আইয়ুব ও গওহর এখনো এসআইসিতে যোগ দেননি। গান্দাপুর খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য লড়বেন। এ কারণে তিনিও এসআইসিতে যোগ দিচ্ছেন না।

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

5h ago