কারাগারে ইমরান খানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা, কেমন আছেন তিনি

ইমরান খান বিচারককে বলেন, ‘আমি গত সাত মাসে একবারও ডাক্তার দেখাতে পারিনি।’
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই দলের নেতা ইমরান খান। ফাইল ছবি: ফারুক নাঈম/এএফপি
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই দলের নেতা ইমরান খান। ফাইল ছবি: ফারুক নাঈম/এএফপি

একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হয়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই দলের প্রধান ইমরান খান বেশ কিছুদিন ধরে কারাগারে। তিনি সুস্থ আছেন কী না, বা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন কী না, তা নিয়ে তার ভক্ত-সমর্থন ও দলের নেতাকর্মীরা উদ্বেগে আছেন।

গতকাল শনিবার পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিওটিভি জানিয়েছে, আদালতের আদেশ মেনে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ডেন্টিস্ট ড. সামিনা নিয়াজি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন।

মূলত ইমরান খানের দাঁতের চিকিৎসার জন্য কারাগারে যান তিনি। 

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইমরান খানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খালিদ ইউসুফ। তিনি বলেন, 'ড. সামিনা নিয়াজি ইমরান খানের দাঁত পরীক্ষা করেছেন।'

তিনি আরও জানান, এসময় সরকারি চিকিৎসকরাও উপস্থিত ছিলেন।

'সার্বিকভাবে ভালো আছেন ইমরান। তিনি কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগছেন না', যোগ করেন তিনি। 

তবে এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।

অ্যাডভোকেট খালিদ বলেন, ইমরান খানের বোন আলিমা খান তার স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে পারেন। তার সেই অনুমতি আছে।

তিনি জানান, ড. সামিনা ইমরান খানের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে তার বোন আলিমার কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন।

২৩ ফেব্রুয়ারি ইমরান খানের বিরুদ্ধে এক মামলার শুনানি চলার সময় তিনি বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তিনি বলেন, 'আমি গত সাত মাসে একবারও ডাক্তার দেখাতে পারিনি।'

বিচারক জবাব দেন, 'কারাগারে ডাক্তার আছে। আপনি তাদের কাছে দাঁতের চিকিৎসা করাতে পারেন।'

ইমরান খান কারাগারের ডাক্তারের সামর্থ্য নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন এবং জানান, কারাগারের ডাক্তারকে দেখালে তিনি তার দাঁত তুলে ফেলতে পারেন।

তিনি ব্যক্তিগত চিকিৎসকের কাছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেওয়ার জন্য বিচারকের কাছে দাবি জানান।

জবাবে বিচারক তাকে লিখিত আবেদনপত্র জমা দিতে বলেন। সে অনুযায়ী আদালত ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।

২৭ ফেব্রুয়ারি একই বিষয়ে অপর এক শুনানিতে বিচারক ইমরান খানকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি দাঁতের চিকিৎসক দেখাতে পেরেছেন কী না। ইমরান জানান, তাকে বলা হয়েছিল ডাক্তার রোববার আসবেন।

'এখন কারা-কর্তৃপক্ষ বলছে, ডাক্তার আগামী সপ্তাহে আসবেন', যোগ করেন তিনি।

পরবর্তীতে আদালত ইমরানের আবেদন অনুমোদন করে এবং একজন মেডিসিনের ডাক্তার ও একজন ডেন্টিস্টকে তার সঙ্গে দেখা করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার অনুমতি দেয়।

Comments