মীরসরাই দুর্ঘটনা: মাইক্রোবাস চালক ও গেটম্যানকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ১২ জন নিহতের ঘটনায় গঠিত আরও একটি তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। 
দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাস | ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে ১২ জন নিহতের ঘটনায় গঠিত আরও একটি তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। 

মোটরযান অধ্যাদেশ আইন না মানায় মূলত মাইক্রোবাস চালককেই দায়ী করা হয়েছে প্রতিবেদনে। পাশাপাশি সশরীরে উপস্থিত না থাকায় গেটম্যানকেও দায়ী করা হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

পাশাপাশি প্রতিবেদনে ১১টি সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। এর মধ্যে রয়েছে-

> সব লেভেল ক্রসিং গেট থেকে নিরাপদ দূরত্বে ট্রেন আসলে উচ্চ শব্দের স্বয়ংক্রিয় এলার্ম বেজে ওঠার সিস্টেম স্থাপন, 

> লেভেল ক্রসিং গেটগুলো কারিগরি সম্ভাব্যতা অনুযায়ী ওভার পাস/আন্ডার পাস নির্মাণ,

> অন্যান্য গেটে শ্রেণী নির্ধারণসহ ন্যূনতম ৩ জনকে পদায়নের ব্যবস্থা নেওয়া, 

> গেটকিপারদের প্রশিক্ষণ ও খাকি ইউনিফরম সরবরাহ করা,

> এলসি গেইটগুলো সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানসহ টেলিফোন সংযোগ প্রদান ও সিসি ক্যামেরা স্থাপনা,

> এলসি গেট এর সড়কপথের গ্রেডিয়েন্ট রেলপথের উভয় দিকে ন্যূনতম ৫০ ফুট পর্যন্ত সমান্তরাল রাখা, 

> গেট ব্যারিয়ারের স্থান হতে অবৈধ বাজার, দোকানপাট, সাইন বোর্ড ইত্যাদি অপসারণের ব্যবস্থা নিয়ে উচ্ছেদ করা, 

> এলসি গেইট পারাপারে ব্যাপক জনসচেতনতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা প্রদান 

> নাটিকা নিমার্ণ ও প্রচার।

গত ২৯ জুলাই মিরসরাইয়ে বড়তাকিয়া নামক লেভেল ক্রসিং গেইটের প্রায় এক কিলোমিটার দূরে চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৩ জন যাত্রীর মধ্যে ঘটনাস্থলে ১১ জনের মৃত্যু হয়। 

এরপর গত ৫ ও ৬ আগস্ট আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। 

এ ঘটনায় রেলপথ মন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম বিভাগীয় তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। সেই প্রতিবেদনেও ৬টি সুপারিশ ছিল। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, ব্যারিয়ার ফেলানোর পর সাধারণ মানুষ যাতে গেট বেরিয়ার উঠাতে না পারে সে জন্য প্রত্যেকটি  গেট লকিং রাখতে হবে, সকল এলসি গেইটে ট্রেন আসা যাওয়ার তথ্য প্রদানের জন্য টেলিফোন যোগাযোগ ব্যবস্থা করা যেতে পারে, সব এলসি গেইটের উন্নত প্রযুক্তির প্রবর্তন, সব এলসি গেইটে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন, সব এলসি গেইটে বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করা এবং রেলওয়ের জিএন্ডএস রুলের (আবশ্যিক নির্দেশনা) ২৩৩/খ এর সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

 

Comments