কেরানীগঞ্জে গ্যাসের চুলার আগুনে একই পরিবারের দগ্ধ ৬

কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় একটি বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন।
আগুন
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কেরানীগঞ্জের জিনজিরায় একটি বাসায় গ্যাসের চুলা থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছেন।

তাদেরকে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে কেরানীগঞ্জ জিনজিরা মান্দাইল মন্দিরের সামনের বাসায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন মোছা. বেগম (৬০), তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার (২৬), সোনিয়ার মেয়ে মরিয়ম আক্তার (৪), বেগমের নাতি সাহাদত হোসেন (২০) ও ইয়াছিন (১২) এবং পান্না বেগম (৫০)।

তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সাহাদতের বন্ধু নাজমুল হাসান সাকিব জানান, দগ্ধরা ২ তলা বাসার নিচতলায় থাকতেন। ভোরে তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ওই বাসায় ছুটে যান। সেখানে ওই ৬ জনকে দগ্ধ অবস্থায় পান তারা। পরবর্তীতে তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

সাকিব বলেন, 'দগ্ধদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, ভোরে মোছা. বেগম রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে সারা ঘরে আগুন লেগে যায়। সেই আগুনেই তারা দগ্ধ হন।'

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, 'নারী ও শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের মধ্যে বেগমের ২৩ শতাংশ, পান্না বেগমের ৩০ শতাংশ, সাহাদতের ৫২ শতাংশ,  সোনিয়ার ২৩ শতাংশ, ইয়াছিনের ২৮ শতাংশ ও মরিয়মের শরীরের ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ইয়াছিনকে আইসিইউতে ও বাকিদের হাই ডিপেনডেন্সি (এইচডিইউ) ইউনিটে রাখা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশংকাজনক।'

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালেদ জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়।

তিনি বলেন, 'আমরা প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছি, গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।'

Comments