নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়া মরদেহ উদ্ধার, হত্যা দাবি পরিবারের

মো. সাজু মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। রোববার দুপুরে রায়পুরার মেথিকান্দা রেলস্টেশনের আউটার এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত মো. সাজু মিয়া (২৩) রায়পুরার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। 

তার পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাকে কুপিয়ে হত্যার পর রেললাইনে মরদেহ ফেলে রাখা হয়।

রেলওয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন সাজু। আজ রোববার সকালে স্থানীয়রা মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে রেল পুলিশকে খবর দেয়। বেলা ১১টার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। 

পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ১২টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। 

এদিকে নিহত সাজুর বড় বোন সাথী আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাজু নরসিংদী মডেল থানার ব্যবহৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। গতকাল সিএনজি চালিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে ভাত খান তিনি। পরে মেথিকান্দার তুলাতুলি গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার কথা বলে তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।'

তিনি আরও বলেন, 'সাজু স্ত্রীকে নির্যাতন করেন, এমন অভিযোগে শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। রোববার সকালে তার স্বশুরবাড়ির এক প্রতিবেশী আমাকে ফোন করে জানান যে গতকাল রাতেই নাকি সাজু শ্বশুরবাড়ি থেকে রাগারাগি করে বেরিয়ে এসেছে।'

'আমাদের ধারণা, তাকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ রেললাইনে ফেলে রেখেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন, যেন পরে বলতে পারে যে ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে,' বলেন তিনি।

জানতে চাইলে নিহতের শাশুড়ি রেনু বেগম ডেইলি স্টারকে জানান, 'শনিবার রাতে সাজু আমাদের বাড়িতে এসেছিল। পরে টাকা-পয়সা নিয়ে রাগারাগি হলে একপর্যায়ে সে খাদিজার (সাজুর স্ত্রী) গলা চেপে ধরে। এ সময় খাদিজা চিৎকার দিলে আমরা এগিয়ে গিয়ে তাকে আটকাই। পরে চলে যেতে বলা হলে রাত ১০টার দিকে সাজু চলে যায়। এরপর কী হয়েছে, আমরা জানি না।'

যোগাযোগ করা হলে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'নিহত যুবকের মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছে, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে জানা যাবে।'

Comments

The Daily Star  | English

HRSS calls 2024 'one of Bangladesh's deadliest'

Rights group calls for enhanced safeguards for women, children and minorities

45m ago