ধামরাইয়ে গ্যাস বিস্ফোরণ: স্ত্রী-কন্যার পর দগ্ধ মনজুরুলের মৃত্যু
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2022/08/13/national_burn_institute-final.jpg?itok=bdlQZX_C×tamp=1669378361)
ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে লাগা আগুনে শিশুসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধের ঘটনায় মনজুরুল (৩২) নামে আরও একজন মারা গেছেন।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইউব হোসেন জানান, মনজুরুলের শরীরে ৩৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আগুনের ঘটনায় গত ৭ জানুয়ারি শনিবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে মারা যায় মনজুরুলের মেয়ে মরিয়ম। এ ছাড়া গতকাল মঙ্গলবার ভোরে মনজুরুলের স্ত্রী জোসনা বেগম এবং দুপুরে মনজুরুলের ভাগ্নি কলেজ শিক্ষার্থী সাদিয়া মারা যান।
জোসনার বড় বোন হোসনা আক্তার বর্তমানে ২৫ শতাংস দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। তার অবস্থাও গুরুতর।
মনজুরুলের বাড়ি নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জর উপজেলার মাগুরা মাস্টারপাড়া গ্রামে।
সাদিয়ার মামা কামাল হোসেন জানান, সাদিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের মকবুল হোসেনের মেয়ে। কিশোরগঞ্জ ভৈরবে মামার বাসায় থাকতেন। সেখানে জিল্লুর রহমান কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ধামরাইয়ে তার খালার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলেন।
এরআগে ৭ জানুয়ারি শনিবার ভোর ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার কুমড়াইল কবরস্থান সংলগ্ন ২ তলা বাড়ির নিচ তলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী মো. নিজাম শেখ জানান, ভোরে তারা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন প্রচণ্ড শব্দ শুনতে পান। এরপর ভবনের নিচতলা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে নিচ তলায় গিয়ে দেখেন, বাসাটির ভেতর ৫জন দগ্ধ অবস্থায় কাতরাচ্ছেন। আর আগুনে বিছানার কিছু অংশ পুড়ে গেছে। তখন তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।
স্বজনদের ধারণা, ভোরে রান্নার জন্য উঠে আগুন জালানোর পর লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের বিস্ফোরণে তারা দগ্ধ হয়েছেন।
Comments