সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ: মালিকের গাফিলতি খুঁজে পেল তদন্ত কমিটি

সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের পর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সরকারি তদন্ত কমিটি।
সীমা
সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে গত ৪ মার্চ বিস্ফোরণ হয়। ছবি: রাজিব রায়হান/স্টার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের পর চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সরকারি তদন্ত কমিটি।

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ডিসি আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান গণমাধ্যমকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ৪ মার্চের ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় ৭ জন নিহত হন এবং ২৫ জনের বেশি আহত হন 

তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, 'কমিটি বিস্ফোরণের পেছনে কারখানার মালিকের গাফিলতি খুঁজে পেয়েছে। আমরা প্রতিবেদনটি মন্ত্রণালয়সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠাব।'

ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেলে প্রতিবেদনের বিস্তারিত গণমাধ্যমে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।

প্রতিবেদনে কী আছে বা বিস্ফোরণের কারণ কী, সে বিষয়ে কিছু বলতে চাননি তদন্ত কমিটির সদস্যরা।

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) রাকিব হাসানের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে তাদের বক্তব্য রেকর্ড করেন।

দুর্ঘটনার পরে তদন্তকারীরা বলেছিলেন যে শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম না থাকা এবং ভারী যন্ত্রপাতি তদারকির অভাবে এ মর্মান্তিক বিস্ফোরণ ঘটে। 
যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতির ফিটনেস পর্যবেক্ষণের জন্য কোনো প্রত্যয়িত প্রকৌশলী ছিল না ওই প্রতিষ্ঠানের। 

তবে চট্টগ্রামের বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. তোফাজ্জল হোসেন বলেছেন, যন্ত্রপাতি পরিচালনার জ্ঞান আছে এমন দক্ষ শ্রমিকরা এই প্ল্যান্টটি পরিচালনা করছিলেন।

এদিকে, ওই ঘটনায় অক্সিজেন প্ল্যান্টের মালিক ও শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ১৬ জনকে আসামি করে এক ভুক্তভোগীর স্ত্রীর করা মামলায় কাউকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। অবহেলাজনিত মৃত্যু অভিযোগে ৬ মার্চ সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করা হয়েছিল।

 

Comments