সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণ

‘মনে হচ্ছিল আমি শূন্যে ভাসছি, পৃথিবীতে নেই’

সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে আহত রিপন মারাক। অর্থোপেডিক ওয়ার্ড, চমেক হাসপাতাল। ছবি: স্টার

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় সীমা রি-রোলিং মিলের অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিস্ফোরণে অক্সিজেন প্ল্যান্ট থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে গিয়ে উড়ে পড়েছে ধাতব বস্তু। প্রায় এক কিলোমিটার দূরে কদমরসুল বাজারে গিয়ে পড়া এমন একটি ধাতব বস্তুর আঘাতে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঘটে যাওয়া এই বিস্ফোরণের ভয়াবহতা সম্পর্কে জানিয়েছেন আহতরা। তাদের একজন ৪০ বছর বয়সী রিপন মারাকের সঙ্গে কথা হয় হাসপাতালের অর্থোপেডিকস ওয়ার্ডে। তিনি চার বছর ধরে কারখানাটির অক্সিজেন প্ল্যান্টে মেনইটেইনেন্স বিভাগে মেকানিক হিসেবে কাজ করছেন। পিঠে আঘাত নিয়ে এখন তিনি হাসপাতালের বিছানায়।

রিপন বলেন, কারখানার ভেতরে মেইনেটেইনেন্স বিভাগ থেকে আমি অক্সিজেন প্ল্যান্টে যাচ্ছিলাম। এর মধ্যে হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। এরপর পুরো অন্ধকার হয়ে যায়। তখন মনে হচ্ছিল আমি শূন্যে ভাসছি এবং এই পৃথিবীতে নেই। কয়েক মিনিট পর অন্ধকারটা সরে গেল। এর পর আমি হেঁটে আবার মেইনটেইনেন্স রুমে গেলাম এবং দেখলাম আমার ফোরম্যান নারায়ণ দাশ মাটিতে পড়ে আছেন। কাছে গেলে আমাকে জানান, তার মাথায় কিছু একটা পড়েছে। এরপর আমি তাকে কাঁধে করে কারখানার গেটে নিয়ে আসি। সেখান থেকে একটি পিকআপে করে আমরা হাসপতালে এসেছি।

'যখন শুন্যে ভাসছিলাম তখন মনে হচ্ছিল আমি মরে গেছি। আমি এখনো কল্পনা করতে পারছি যে বেঁচে ফিরেছি। আমি আর অক্সিজেন প্ল্যান্টে চাকরি করব না। দেশে চলে যাব।'

দুই ছেলে এক মেয়ের বাবা রিপনের বাড়ি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার আঁরাপাড়া গ্রামে।

 

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and suppress political dissent.

6h ago