বান্দরবানের পাহাড়ি রাস্তায় বাস উল্টে আহত ১২

রোয়াংছড়িতে বেতছড়া পুলিশ ক্যাম্প এলাকায় সড়কের ড্রেনে চাকা আটকে বাস উল্টে যায়। ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানে আজ বুধবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে, দুপুরে রোয়াংছড়ির বেতছড়া পুলিশ ক্যাম্প এলাকায় সড়কের ড্রেনে চাকা আটকে বাস উল্টে ১২ জন আহত হয়েছে। 

এছাড়া, সকালে বান্দরবান সদরের যৌথ খামার-রেইচা সড়কের ঢালে ও কলাপাড়া বড় ক্যাং মোড়ে অপর দুটি দুর্ঘটনা ঘটে।

বান্দরবান ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা (টিআই) ফরহাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব দুর্ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানায়, সকাল ১১টায় বান্দরবান সদরের যৌথ খামার এলাকায় বান্দরবান থেকে কেরানিহাট যাওয়ার পথে বিপরীতমুখী মাহেন্দ্রকে (চাঁদের গাড়ি) সাইড দেওয়ার সময় একটি যাত্রীবাহী ত্রি-হুইলার উল্টে গিয়ে ৫ জন আহত হন। 

আধাঘণ্টা ব্যবধানে সাড়ে ১১টার দিকে কেরানিহাট যাওয়ার পথে রেইচা ঢালে একটি সিএনজিচালিত ত্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণ হারালে ৪ জন আহত হন। 

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠায়। আহত মো. আমজাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

অপরদিকে, দুপুরে বান্দরবান থেকে রুমা যাওয়ার পথে রাস্তার পাশের ড্রেনে চাকা আটকে বাস উল্টে অন্তত ১২ জন আহত হন। রোয়াংছড়ির বেতছড়া ঝিড়ি সংলগ্ন পুলিশ ক্যাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার মুজিবুল হক বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আজ এ পর্যন্ত আহত ২১ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া  হয়েছে। আহতদের মধ্যে আমজাদসহ ২ জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।'

ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা ফরহাদুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন গাড়ি ও চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান আছে। ফিটনেসবিহীন গাড়িগুলো ডাম্পিংয়ে পাঠানো হচ্ছে।'
 

Comments

The Daily Star  | English

Scorched at work: Global report revealed dire heat risks for workers

A joint report released by the World Health Organisation (WHO) and the World Meteorological Organisation (WMO) exposed the growing dangers of extreme heat on workers’ health and productivity worldwide.

34m ago