গাজীপুরে ও নোয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর নিহতের খবর পেয়ে উত্তেজিত জনতা কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগ করে। এতে আধাঘণ্টা সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর ও নোয়াখালীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে গাজীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নোয়াখালীর মাইজদী-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গাজীপুর

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর সিটি করপোরেশনের গাছা এলাকায় কাভার্ডভ্যান চাপায় এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছে।

নিহতের পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

দুর্ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা কাভার্ডভ্যানে অগ্নিসংযোগ করে। এতে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

খবর পেয়ে গাছা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা থেকে লোকজন সরিয়ে দেয়।

গাছা থানার ডিউটি অফিসার এস আই আরিফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে গিয়েছে।

পথচারী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, নিহত মোটরসাইকেল চালক ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। একটি কাভার্ডভ্যান তাকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

গাছা থানার এসআই আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছি। কাভার্ডভ্যান ও চালক আটক আছে। স্থানীয়রা প্রায় ৩০ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছিল।'

মহাসড়কের বড়বাড়ী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাত ৯টার দিকে অপর একটি সড়ক দুর্ঘটনায় আরেক যুবক আহত হয় বলে জানা গেছে।

আহত পাপন (২০) স্থানীয় আল হেরা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নোয়াখালী

নোয়াখালী জেলা শহরে মাইজদী-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী আমিরাত প্রবাসী এক তরুণ নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় আরও এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়।  

নিহত আনোয়ার হোসেন অনিক (২২) কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি দুই মাস আগে আবুধাবি থেকে দেশে আসেন। 

সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলের দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার পার্টিতে যোগ দিতে মোটরসাইকেলে মাইজদী যান অনিক। 

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে অনিক গুরুতর আহত হন। 

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।  

নিহতের বাবা মন্টু মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইফতারের সময় একটি নম্বর থেকে আমার ফোনে কল দিয়ে জানানো হয় অনিককে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি ছেলে মারা গেছে।'  

ওসি মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, 'লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'    

Comments

The Daily Star  | English

JCD blocks Shahbagh again demanding justice for Shammo murder

The protesters also demanded the resignation of the vice-chancellor and proctor of Dhaka University

19m ago