থানচিতে নৌকা ডুবে দুই শিশু নিখোঁজ

বান্দরবান

বান্দরবানের থানচিতে স্কুলে যাওয়ার সময় নদীতে নৌকা ডুবে দুই শিশু নিখোঁজ হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে উপজেলার তিন্দু ইউনিয়নের পদ্মমুখ সংলগ্ন চিংড়ি ঝিরি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

থানচি ফায়ার সার্ভিসের লিডার পেয়ার মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

নিখোঁজ শান্তি রানি ত্রিপুরা (১০) ২ নম্বর তিন্দু ইউপির মুতিজং ত্রিপুরার মেয়ে। অপরজন ফুলবাণী ত্রিপুরা (৯) একই এলাকার নিলাপ্রু ত্রিপুরার মেয়ে। 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী টিমং পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আগষ্টিং ত্রিপুরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ সকাল সাড়ে ৯টায় হরিশচন্দ্র পাড়া থেকে ৫-৬ জনের সঙ্গে নৌকায় রুনাদন পাড়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে  যাচ্ছিল শান্তি ও ফুলবাণী।

টানা ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ের ঢলের পানির স্রোতে ঝিরির  মাঝামাঝি পৌঁছালে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় অন্যরা সাঁতার কেটে তীরে পৌঁছালেও ওই দুজন তীরে পৌঁছাতে না পেরে স্রোতে ভেসে যায়। 

সবশেষ রাত ৮টা পর্যন্ত তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

তিন্দু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ভাগ্যচন্দ্র ত্রিপুরা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হরিশচন্দ্র পাড়ার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থী রুনাদন পাড়া স্কুলের যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হয়েছে।'

ফায়ার সার্ভিস কর্মী পেয়ার মাহমুদ বলেন, 'স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি দুই ছাত্রী নিখোঁজ। বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বৃষ্টি থেমে গেলে বা আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে যেতে পারব।'

যোগাযোগ করা হলে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, 'থানচিতে নৌকা ডুবে দুই স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার খবর শুনেছি। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।'

বান্দরবান-রুমা সড়কে যান চলাচল বন্ধ

টানা দুই দিন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বান্দরবান-রুমা সড়কের ১২ মাইল (ওয়াই জংশন) ও দলিয়ান পাড়ার মাঝামাঝি স্থানে পাহাড় ধস, রুমা বটতলী পাড়া এলাকায় বিদ্যুৎ খুঁটি ও গাছ উপড়ে রাস্তায় পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। 

আজ সোমবার বিকেল থেকে যান চলাচল বন্ধের পাশাপাশি ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগও বন্ধ রয়েছে। 

বান্দরবান ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক পূর্ণ চন্দ্র মুৎসুদ্দি ডেইলি স্টারকে জানান, রাস্তায় ভেঙে পড়া গাছপালা পরিষ্কার করতে পারলেও, যন্ত্রপাতি না থাকার কারণে মাটির স্তূপ সরানো যায়নি।

জানতে চাইলে বান্দরবান বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন মাসুম ডেইলি স্টারকে জানান, বৃষ্টি থেমে গেলে বিদ্যুতের খুঁটি মেরামত করে দ্রুত সঞ্চালনের কাজ স্বাভাবিক করা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Wasa water stinks

For the past two weeks, Siddiqur Rahman, a resident of Shantibagh in Dhaka, has been receiving water from Dhaka Wasa infested with insects and accompanied by a strong stench.

12h ago