সচিবালয়ে আগুন নাশকতামূলক কিনা, তদন্তের পর বলা যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্তের পর আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে জানা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের ছয়তলায় ১টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসকে ১টা ৫২ মিনিটে খবর দেওয়া হয় এবং ১টা ৫৪ মিনিট থেকে তারা কাজ শুরু করে। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসে।'

এ ঘটনায় একজন ফায়ার ফাইটার নিহত হয়েছেন এবং আরও দু-তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, 'এ ঘটনা তদন্তে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি করা হবে।'

সচিবালয়ের মতো এত সুরক্ষিত জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা কীভাবে হলো জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'দুর্ঘটনা যেকোনো জায়গায় হতে পারে, এ জন্যই দুর্ঘটনা বলে। সচিবালয়ের ভেতরেও এমন দুর্ঘটনা হতে পারে বলেই সচিবালয়ের ভেতরেও (ফায়ার সার্ভিসের) গাড়ি রাখা হয়।'

তিনি জানান, আগুন ছয়তলার লাগার পর পরবর্তীতে উপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে যায়।

এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটিকে নাশকতা মনে করা হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তদন্তের পর এ বিষয়টি জানা যাবে।

আজ মধ্যরাতে আগুন লাগে সচিবালয়ে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট সেখানে পৌঁছায়। অবশেষে আজ সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আজ সকালে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল জানান, সচিবালয়ের আগুন নেভানোর জন্য ১৯টি ইউনিট পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ১০টি ইউনিট ফিজিক্যালি কাজ করেছে। কারণ কিছু গাড়ি ঢোকাতে সমস্যা হচ্ছিল।

তিনি জানান, ছয়তলা থেকে নয়তলা পর্যন্ত আগুন ছড়িয়ে পরেছিল।

আগুন নিয়ন্ত্রণে এত সময় লাগার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটি (সচিবালয়) একটি কনফাইন্ড এরিয়া, রেস্ট্রিকটেড এরিয়া। সব রুম তালাবদ্ধ ছিল, জানালা লাগানো ছিল। আমরা কাঁচ ভেঙে ভেঙে পানি দিয়েছি। চেষ্টা করেছি যাতে আগুন না ছড়ায়। পাশাপাশি রুমগুলো যত কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।'

সচিবালয়ে আগুন নেভানোর সময় ট্রাকচাপায় আহত ফায়ার সার্ভিস কর্মী মো. সোহানুর জামান নয়ন মারা গেছেন। তিনি পানির পাইপ পাম্পে সংযোগ দেওয়ার জন্য কাঁধে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি দ্রুতগামী ট্রাক পেছন থেকে তাকে ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে ঢাকা মেডিকেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia returns home from London

Khaleda Zia, accompanied by her two daughters-in-law Zubaida Rahman and Syeda Sharmila Rahman, is now on way to her Gulshan residence

2h ago