স্কুলের সামনে 'শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলি'র ধাক্কায় শিশু নিহত, গাড়িতে আগুন দিল বিক্ষুব্ধ মানুষ

আজ রোববার কুষ্টিয়া শহরে স্কুলের সামনে রাস্তা পার হওয়ার সময় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলির ধাক্কায় মারা গেছে পাঁচ বছরের শিশু ইব্রাহিম। গুরুতর আহত হয়েছে তার দাদী।
এ ঘটনায় বালির ওই ট্রলিটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ মানুষজন।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শহরের প্রতীতি বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ইব্রাহিম ওই স্কুলের প্লে গ্রুপের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, বালুভর্তি ট্রলিটি শহরের মজমপুর গেটের দিক থেকে আসছিল। গাড়ির ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। তার দাদী আনোয়ারা (৫০) গুরুতর আহত হন।
তাদের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল মোড় এলাকায়।
দুর্ঘটনার পরপরই কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জাতীয় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্কুল শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী। তারা ট্রলিটিতে আগুন দেন। কীভাবে এমন অবৈধ যান শহরে চলাচল করে তা নিয়ে প্রশ্ন রাখেন তারা।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেহাবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইব্রাহিম। পরে এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ রোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, সদর উপজেলা সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রিফাতুল ইসলাম। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, এলাকাবাসী ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে। অবৈধ যানবাহন গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে চলাচল করার অনুমতি নেই বলেও জানান তিনি।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, শিশু মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হবে। আমরা সড়কে এ ধরনের যানবাহন বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছি।
২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সন্তানের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন বাবা মো. সোনা। আদরের সন্তানের মরদেহের দিকে নির্বাক তাকিয়ে আছেন এই বাবা।
Comments