২ দিনে পানিতে ডুবে ১০ জনের মৃত্যু

পৃথক ঘটনায় গত সোমবার ও মঙ্গলবারে পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীন মিয়া জানান, সোমবার নোয়াখালীর সুবর্ণচরে চরজুবিলি এলাকায় দাদার বাড়ির পাশের একটি পুকুরের পানিতে ডুবে তিন বছর বয়সী ফারিয়া আক্তার ও তার পাঁচ বছর বয়সী চাচাতো ভাই মোহাম্মদ তাহাসিন মারা গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটিতে দাদার বাড়ি গিয়েছিল ওই শিশুরা। পুকুরের পাশে খেলার সময় দুর্ঘটনাক্রমে পানিতে পড়ে যায়। সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গ্রামবাসীরা তাদের মরদেহ উদ্ধার করে এবং স্থানীয় একজন চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
জুড়ী থানার ওসি মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া জানান, ইটভাটার মালিক বাবুল তার মেয়েকে নিয়ে ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে বাড়ি গিয়েছিলেন।
হালিমাকে সাঁতার শেখানোর চেষ্টা করছিলেন বাবুল। সাঁতার কাটতে গিয়ে পা পিছলে হালিমা পানিতে ডুবে যায় এবং তার মৃত্যু হয়। তাকে বাঁচাতে গিয়ে বাবুলও পানিতে ডুবে যান।
ভিকারুননেসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী হালিমার এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।
কক্সবাজারে ১৬ ঘণ্টার মধ্যে সমুদ্র সৈকত ও এর আশেপাশের এলাকা থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন রাজশাহীর বাসিন্দা শাহিনুর রহমান (৬০) ও তার ছেলে সিফাত (২০)।
সায়মান হোটেলের কাছে সমুদ্র সৈকতে সাঁতার কাটতে গিয়ে তারা ডুবে যান।
এর আগে, নাজিরারটেক থেকে স্থানীয় জেলে নুরু সওদাগরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রোববার শৈবাল এলাকার কাছে মাছ ধরতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন।
মঙ্গলবার পেচারদ্বীপ, বকখালি মোহনা ও ডায়াবেটিস এলাকার সমুদ্র সৈকত থেকে আরও তিনটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে একজনের নাম মোহাম্মদ রাজীব। তিনি চট্টগ্রামের ডিসি রোডের বাসিন্দা ছিলেন। বন্ধুদের সঙ্গে সাঁতার কাটতে গিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এখন পর্যন্ত বাকি দুজনের পরিচয় জানা যায়নি।
সী সেফ লাইফগার্ড সদস্য সাইফুল্লাহ সিফাত মঙ্গলবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আজ (মঙ্গলবার) সকালে ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করেছি। আমাদের কর্মীর সংকট রয়েছে। দুটি শিফটে মাত্র ২৭ জন লাইফগার্ড কাজ করছি। কিন্তু সৈকত তো বিশাল।'
Comments