ফ্রিজের কম্প্রেসার ‘বিস্ফোরণ’, নারায়ণগঞ্জে নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৯

বিস্ফোরণের পর বিধ্বস্ত ঘরের চিত্র। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ফ্রিজের কম্প্রেসার 'বিস্ফোরণ' থেকে সৃষ্ট আগুনে দুই পরিবারের অন্তত নয়জন দগ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী পূর্বপাড়া এলাকার একটি টিনশেড বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান আদমজী ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. মীরন মিয়া।

মীরন বলেন, খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। তার আগেই দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।

প্রাথমিক তদন্তের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, 'টিনশেডের একটি ঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসার বিস্ফোরিত হলে আগুন ধরে যায়। আগুন পাশের ঘরেও ছড়িয়ে পড়লে দুই ঘরে থাকা লোকজন দগ্ধ হন।'

দগ্ধরা হলেন—পটুয়াখালীর বাউফলের আসমা বেগম (৩৫), তার স্বামী তানজিল ইসলাম (৪০), তাদের মেয়ে তিশা (১৭) ও ছেলে আরাফাত (১৫), আসমার বোন সালমা বেগম (৩২), তার স্বামী হাসান (৪০), মেয়ে মুনতাহা (৮), জান্নাত (৪) ও ১ মাস বয়সী শিশু ইমাম উদ্দিন।

দগ্ধদের ভেতর তানজিল বাদে অন্যরা এখন রাজধানীর জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জনশাওন বিন রহমান জানান, চিকিৎসাধীন আসমার শরীরের ৪৮ শতাংশ, তিশার ৫৩ শতাংশ, আরাফাতের ১৫ শতাংশ, হাসানের ৪৪ শতাংশ, জান্নাতের ৪০ শতাংশ, ইমাম উদ্দিনের ৩০ শতাংশ, সালমা বেগমের ৪৮ শতাংশ এবং মুনতাহার ৩৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

তানজিলের চিকিৎসা চলছে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় একটি হাসপাতালে।

প্রতিবেশী মো. মামুন সাংবাদিকদের বলেন, দগ্ধ আসমার বাবা আব্দুর রশিদ এ বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। কিছুদিন আগে রশিদ মারা যান। তার তিন মেয়ে, জামাই ও নাতি নাতনি পাশাপাশি তিনটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন।

'রাতে বিকট শব্দের বিস্ফোরণের শব্দ শুনি। বাসা থেকে বেরিয়ে আগুন দেখতে পাই। পরে স্থানীয়রা ও আহতদের স্বজনরা মিলে দগ্ধদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।'

Comments

The Daily Star  | English

How Dhaka’s rickshaw pullers bear a hidden health toll

At dawn, when Dhaka is just beginning to stir, thousands of rickshaw pullers set off on their daily grind.

17h ago