ওসমানী মেডিকেলের শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও হয়রানির ঘটনায় ২ মামলা

সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২ শিক্ষার্থীর ওপর হামলা ও নারী শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের হয়রানির ঘটনায় ২ পৃথক মামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে কলেজ কর্তৃপক্ষ একটি এবং ১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরেকটি মামলা করেছে।
সিলেটের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী মাহমুদ দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কলেজের দায়ের করা মামলার বাদী কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহমুদুল রশীদ ও হাসপাতালের দায়ের করা মামলার বাদী হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. হানিফ। গতকাল সোমবার রাতে আটক মোহিদ হাসান রাব্বি ও এহসান আহমদকে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে পুনরায় কর্মবিরতি ও প্রতিবাদী কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মেডিকেলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।
গতকাল ২টা ৪৫ মিনিটে থেকে আজ বিকেল ২টা পর্যন্ত সময় দিয়ে আন্দোলন ও কর্মবিরতি সাময়িক স্থগিত করেছিলেন তারা। পরে বৈঠকে তাদের ৫টি দাবি মানা হলেও এখনো চিহ্নিত হামলাকারী গ্রেপ্তার না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
রোববার হাসপাতালের এক নারী শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে এক রোগীর ২ স্বজনকে পুলিশে দেওয়া হয়। ওই ঘটনার জেরে গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আহত ২ শিক্ষার্থী রুদ্র নাথ ও নাইমুর রহমান ইমনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এর প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা মেডিকেল রোড অবরোধ করেন এবং হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু থাকেন। কলেজের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরাও কর্মবিরতি ঘোষণা করে আন্দোলনে যোগ দেন।
ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাত ১টার দিকে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়াকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করেন।
Comments