নারায়ণগঞ্জে মানবপাচারকারী চক্রের ৬ সদস্য আটক, ২ নারী উদ্ধার

র‌্যাবের হাতে আটক মানবপাচারকারী চক্রের ৬ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় মানবপাচারকারী চক্রের ৬ সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১১)। এসময় ভুক্তভোগী ২ নারীকে উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, মুন্সীগঞ্জ ডাইনাপাড়ার তোফাজ্জল হোসেন ইরানের স্ত্রী ঝুমা আক্তার, একই জেলার হিল্লাপাড়ার রিপন শেখের স্ত্রী শারমিন আক্তার, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার এলাকার রহমানের মেয়ে মিনারা ওরফে রিনা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বিক্রমপুর এলাকার মৃত রাজ্জাক মিস্ত্রির ছেলে শাহজামাল ও তার স্ত্রী রাবেয়া আক্তার এবং সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকার মৃত শহীদুল ইসলামের স্ত্রী কমলি খাতুন ওরফে সিমা।

আজ শুক্রবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক তানভীর মাহমুদ পাশা এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, ৪ আগস্ট বিকেল ৪টায় এক নারী ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জের বাতানপাড়া মসজিদ রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ নারী ও ১ পুরুষকে আটক করা হয়। যারা মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য। এসময় তাদের কাছ থেকে পাচারের কাজে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়াও, ভুক্তভোগী নারীর ডেবিট কার্ড ও টাকা রাখার ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে আরও ২ নারী ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক।

তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, মানবপাচারকারী চক্রের কয়েকজন ওই নারীকে বিউটি পার্লারে কাজ যোগাড় করে দেওয়ার কথা বলে যশোরের বেনাপোল বর্ডারে নিয়ে যান। একপর্যায়ে তাকে পার্শ্ববর্তী দেশের কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রম করে যাওয়ার জন্য বললে তিনি বুঝতে পারেন যে, তাকে পাশের দেশে পাচার করা হচ্ছে। তিনি যেতে রাজি না হলে পাচারকারীরা তাকে ব্যাপক মারধর করেন। একপর্যায়ে তিনি কৌশলে পালিয়ে বাসে করে যশোর থেকে নারায়ণগঞ্জে আসেন।

এই র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, অভিযানে উদ্ধারকৃত ২ নারী জানান, তাদেরকেও উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে পাশের দেশে পাচারের জন্য পাচারকারী চক্রটি সেখানে নিয়ে যায়। এরমধ্যে অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীকে ৪ আগস্ট রাতেই পাচারের পরিকল্পনা ছিল।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধান ও আটককৃত মানবপাচারকারীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সহজ-সরল অভাবী নারীদের উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধভাবে পাশের দেশে পাচার করে আসছে। আসামিরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। এই মানবপাচার চক্রের অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago