চলন্ত বাসে ডাকাতি-সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

মাত্র ২ লাখ টাকার জন্য...

টাঙ্গাইলে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল এক্সপ্রেসের চলন্ত বাসে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ১০ জনের ডাকাত দল যাত্রীদের কাছ থেকে যে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং মোবাইল ফোন লুট করেছে সেগুলোর মোট মূল্য মাত্র ২ লাখ টাকা।
টাঙ্গাইলে ডাকাতির কবলে পড়া বাসটি। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঈগল এক্সপ্রেসের চলন্ত বাসে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ১০ জনের ডাকাত দল যাত্রীদের কাছ থেকে যে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং মোবাইল ফোন লুট করেছে সেগুলোর মোট মূল্য মাত্র ২ লাখ টাকা।

ডাকাতির ঘটনার পর বাস যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মালামালের হিসেব নিয়ে তা লিপিবদ্ধ করেছে মধুপুর থানা পুলিশ।

বাস ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা এবং মধুপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'ঘটনার পর যাত্রীদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ছিনিয়ে নেওয়া নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং মোবাইল ফোনের মূল্য যোগ করে মোট অংক দাঁড়ায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ঘটনার পর ৩-৪ জন যাত্রী চলে যাওয়ায় এই অংক ২ লাখের মতো বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।'

তিনি জানান, যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোট ১৬টি মোবাইল ফোনের মধ্যে অধিকাংশই ছিল সাধারণ বাটন ফোন, যেগুলোর প্রতিটির মূল্য এক থেকে ২ হাজার টাকার কাছাকাছি।

বাসের ২-৩ জন যাত্রীর কাছ থেকে মোটা অংকের কিছু টাকা পেলেও, অধিকাংশ যাত্রীর কাছ থেকে খুবই সামান্য টাকা পেয়েছে ডাকাত দল।

যে নারী যাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তার কাছ থেকে নগদ ৪৫০ টাকা এবং একটি সস্তা বাটন ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল ডাকাত দলের যে ২ সদস্য গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের মধ্যে আউয়াল পুলিশকে জানিয়েছেন, যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোনগুলো থেকে ভাগে পাওয়া ২টি মোবাইল ফোনের মধ্যে একটি তিনি কয়েকশ টাকায় বিক্রি করেছেন এবং অপরটি এক টোকাইকে দিয়ে দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার অপর আসামি নুরন্নবীর কাছ থেকে যে ফোনটি পুলিশ উদ্ধার করেছে, সেটিও খুবই সাধারণ এবং সস্তা।

এসব বিষয় জানতে মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আসলে ঈগল এক্সপ্রেসের ওই বাসটিতে সেদিন যারা যাত্রী ছিলেন, তাদের অধিকাংশই নিম্নবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।'

'ডাকাতরা সম্ভবত বিলাসবহুল ঈগল পরিবহন মনে করে ভুলে সাধারণ ঈগল এক্সপ্রেসে ডাকাতির জন্যে উঠে পড়ে', যোগ করেন তিনি।

 

Comments