'ধর্ষণের শিকার' বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীর মরদেহ ঝুলছিল সেফ হোমে

গাজীপুরে মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র (সেফ হোম) থেকে বাকপ্রতিবন্ধী এক তরুণীর (২১) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 
'ধর্ষণের শিকার' বাকপ্রতিবন্ধী তরুণীর মরদেহ ঝুলছিল সেফ হোমে
ছবি: স্টার

গাজীপুরে মহিলা, শিশু ও কিশোরী হেফাজতিদের নিরাপদ আবাসন কেন্দ্র (সেফ হোম) থেকে বাকপ্রতিবন্ধী এক তরুণীর (২১) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

নিহত তরুণী ২০১৬ সালে শ্রীপুর থানায় করা একটি ধর্ষণ মামলার ভিক্টিম।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি'র) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মালেক খসরু খান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। 

মহানগরীর বাসন থানার মোগরখাল এলাকায় অবস্থিত ওই সেফ হোমের সুপার পারভিন আক্তার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বুধবার ভোরে তৃতীয় তলার টয়লেটে ওই তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে কেন্দ্রের অন্য নিবাসীরা অফিসের লোকজনকে খবর দেন। বাসন থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং তা ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। 

তিনি বলেন, 'ওই তরুণী বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় ছোটবেলায় পরিবার তাকে সেফ হোমে রেখে আসে। এর আগে তিনি কোনবাড়ি শিশু (বালিকা) উন্নয়ন হেফাজত কেন্দ্রে ছিলেন। সেখান থেকে গত ১ মার্চ তাকে এই কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়।' 
 
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মালেক খসরু খান বলেন, 'ওই তরুণী ২০১৬ সালে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা একটি ধর্ষণ মামলার ভিক্টিম ছিলেন। তিনি একজন বাক প্রতিবন্ধী। ইশারা-ঈঙ্গিতে কথা বলতেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার গলায় ফাঁস নেওয়ার আলামত পাওয়া গেছে।'

ওসি আরও বলেন, 'গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার মো. জাকির হাসানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ঘটনার বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।'

Comments