ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার, শিক্ষক আটক

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় একটি মাদ্রাসার টয়লেট থেকে মোহাম্মদ আলী (১৩) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ‌।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় একটি মাদ্রাসার টয়লেট থেকে মোহাম্মদ আলী (১৩) নামে এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ‌।

আজ রোববার বিকেল ৪টার দিকে শহরের কাউতলি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ইব্রাহিমিয়া তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

মাদ্রাসার এক শিক্ষক জানান, সকালে শ্রেণিকক্ষে পড়া না পারায় তাকে বেত্রাঘাত করা হয়েছিল। এরপর দুপুরে টয়লেটে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদকে আটক করেছে পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরানুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ সানাউল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সকালে শ্রেণিকক্ষে মোহাম্মদ আলীকে শিক্ষক হোসাইন আহম্মেদ বেত্রাঘাত করেন। পরে জোহর নামাজ শেষে সবাই বাড়িতে খাবার খেতে গেলেও সে বাড়িতে যায়নি। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে ছাত্ররা মাদ্রাসার টয়লেটের ভেতরে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে।'

ছেলেটির বাবা কাউছার মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, 'আমার ছেলে প্রতিদিন দুপুরে খাবার খেতে বাড়িতে আসে। কিন্তু আজ বাড়িতে না আসায় আমি নিজেই মাদ্রাসায় চলে যাই। মাদ্রাসায় যাওয়ার পর শিক্ষকরা আমাকে দেখে অস্থির হয়ে পড়েন। শিক্ষকদের আচরণ দেখে আমিও চিন্তিত হই। এরপর দীর্ঘক্ষণ আমাকে অফিস কক্ষে বসিয়ে রাখা হয়। এক পর্যায়ে আমি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে শিক্ষকরা আমাকে টয়লেটের কাছে নিয়ে যান এবং বলেন, আমার ছেলে এর ভেতরে আছে। পরে ছাত্ররা তার ঝুলন্ত মরদেহ নামায়।'

ওসি মো. এমরানুল ইসলাম বলেন, 'নিখোঁজের পর টয়লেটের ভেতর ঝুলন্ত অবস্থায় ছেলেটির মরদেহ পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।'

এ বিষয়ে জানতে মাদ্রাসার মুহতামিম মাহফুজুল হাসান ইব্রাহিমীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

Comments