প্রাথমিকে নিয়োগ জালিয়াতিতে সমবায় কর্মকর্তাসহ কারাগারে ২

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

পঞ্চগড়ে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সমবায় কর্মকর্তাসহ ২ জনতে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

এই ২ জন হলেন- বোদা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম (৪১) ও চাকরিপ্রার্থী ললিত মোহন রায় (২৬)।

আজ বুধবার বিকেলে পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে ৩দিনের রিমান্ড আবেদন করলে অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মতিউর রহমান এই আদেশ দেন।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মতিউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। একই আদালত আগামী রোববার রিমান্ড আবেদনের দিন নির্ধারণ করেছেন বলে জানান তিনি।

পঞ্চগড় থানার উপপুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে মৌখিক পরীক্ষা শেষে সেখান থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে রাতেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।'

মামলা সূত্রে তিনি জানান, মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বোদা উপজেলার অন্তর্ভুক্ত লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ চাকরি প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা চলছিল। একপর্যায়ে বিকেলে ললিত মোহন রায়ের মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে তার হাতের লেখার সঙ্গে  লিখিত পরীক্ষার খাতার লেখায় অমিল পাওয়া গেলে নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বসতভিটার অর্ধেক জমি বিক্রি করে একটি চক্রকে ৮ লাখ টাকা দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন তিনি। সেই চক্রের সহায়তায় লিখিত পরীক্ষায় তার পরিবর্তে অন্য ব্যক্তি পরীক্ষা দেওয়ার বিষয়টিও জানানা তিনি। কিন্তু, কে প্রক্সি দিয়েছিল তা বলতে না পারলেও বোদা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকে ৩ লাখ টাকা এবং রিয়াজুল ইসলাম নামের আরেকজনকে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বলে জানান।

'সন্ধ্যায় ললিত মোহন রায়ের কথা অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বোদা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামকেও ডেকে আনা হয়। পরে তাদের ২ জনকেই পঞ্চগড় সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে নিয়োগ বোর্ড,' বলেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামি হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মো. রিয়াজুল ইসলাম (৩২)। বর্তমানে তিনি পলাতক আছেন।

উল্লেখ্য, গত ৫ জুলাই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আটোয়ারী উপজেলার পরীক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা চলাকালে জালিয়াতির অভিযোগে মকসেদুর রহমান (২৮) ও আহসান হাবিব (২৮) নামে দুই পরীক্ষার্থী এবং জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বেলাল উদ্দীন (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

গত ৪ আগস্ট জালিয়াতির মাধ্যমে প্রক্সি লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষা দিতে এসে আটক হন সদর উপজেলার স্বপন সেন (২৯)।

Comments

The Daily Star  | English

CSA getting scrapped

The interim government yesterday decided in principle to repeal the Cyber Security Act which has been used to curb press freedom and suppress political dissent.

5h ago